ভারতে আটকে পড়া ১১ জেলেকে দেশে আনার আকুতি

পটুয়াখালী
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ১১ জেলে প্রায় ২ মাস ধরে ভারতে আটকে আছেন। তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে এখনো কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় ওই জেলের স্বজনরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন।

গত ১৯ আগস্ট বঙ্গোপসাগরে ঝড়ে ট্রলার ডুবে গেলে তারা ভাসতে ভাসতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার মোল্লাখালী কোস্টাল থানার তালপট্টিতে চলে আসেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গত ১৫ আগস্ট বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বাবুল ব্যাপারী তার মাছ ধরার ট্রলারে করে একই ইউনিয়নের ছোট ডালিমা গ্রামের জসিম হাওলাদার, চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের সুমন ব্যাপারী, সোহরাব মাঝি, জসিম বয়াতি, আবুল মাতুব্বর, ডিয়ারকচুয়া গ্রামের ফিরোজ খলিফা, কায়েস হাওলাদার, কামাল সরদার, রায়সাহেব গ্রামের সবুজ ব্যাপারী, লালমোহন উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের মোতাহার হোসেন ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের করিমকে নিয়ে বঙ্গোপসাগরে যান।

১৯ আগস্ট ঝড়ে তাদের ট্রলার ডুবে যায়।

ট্রলার মালিক বাবুল ব্যাপারী হোয়াটসঅ্যাপে স্বজনদের জানান যে, বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির পর তারা বাঁশ ও প্লাস্টিকের ড্রাম ধরে ভাসতে ভাসতে তালপট্টির বনে আটকা পড়েছেন।

পরদিন ওই বনের পাশ দিয়ে ট্রলার যাওয়ার সময় তারা চিৎকার করলে ট্রলারের মাঝি জোনাব মোল্লা তাদেরকে উদ্ধার করে জীবনতলা থানার মৌখালি গ্রামে নিয়ে যান।

এরপর, তিনি তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

সংবাদ পেয়ে পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে যায়। পরে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জোনাব মোল্লার জিম্মায় দেন। সেই থেকে তারা তার বাড়িতে অবস্থান করছেন।

এ ঘটনায় গত ২১ আগস্ট বাবুল ব্যাপারীর ছেলে আসিফ ব্যাপারী বাউফল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

আসিফ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভারতে আটকা পড়া জেলেদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।'

ঘটনার পর প্রায় ২ মাস কেটে গেলেও আটকা পড়া জেলেদের দেশে ফিরিয়ে আনার কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় তাদের পরিবারের সদস্যরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভারতে আটকা পড়া জেলেদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Hasina’s final days before the fall

A desire to cling to power, intolerance for dissent and failure to see the writing on the wall were what eventually unravel Sheikh Hasina’s iron-fisted rule of 15 years.

7h ago