উত্তর প্রদেশে নার্স ধর্ষণ-হত্যা, ৯ দিন পর মিলল মরদেহ

কলকাতায় চিকিৎসক ধর্ষণ-হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ। ছবি: এএফপি
কলকাতায় চিকিৎসক ধর্ষণ-হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ। ছবি: এএফপি

ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যে এক বেসরকারী হাসপাতাল থেকে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে এক নার্সকে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়েছে। মৃত্যুর নয় দিন পর তার মরদেহ খুঁজে পাওয়া গেছে।

আজ শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।

নিহত নার্স উত্তরাখন্ডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করতেন। উত্তর প্রদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় ছিল তার বাসা।

৩০ জুলাই সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে বের হয়ে তিনি একটি ই-রিকশায় ওঠেন। রুদ্রাপুরের ইন্দ্র চক থেকে পাওয়া সিসিটিভি ফুটেজে তাকে রিকশায় উঠতে দেখা গেলেও সে রাতে তিনি বিলাসপুরের কাশীপুর সড়কে অবস্থিত ভাড়া বাসায় পৌঁছাননি। সেখানে তিনি তার ১১ বছর বয়সী মেয়ের সঙ্গে থাকতেন।

পরদিন নার্সের বোন থানায় নিখোঁজের একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এর আট দিন পর ৮ আগস্ট দিবদিবা গ্রামে নিজের বাসা থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে একটি খালি প্লটে তাঁর মরদেহ খুঁজে পায় উত্তর প্রদেশ পুলিশ।

লাশের ময়নাতদন্ত করা হয় এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে একটি দল গঠন করে পুলিশ। একপর্যায়ে ওই নার্সের চুরি হওয়া ফোনের অবস্থান শনাক্ত করে ধর্মেন্দ্র নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া দিনমজুর ধর্মেন্দ্র উত্তর প্রদেশের বেরেলির বাসিন্দা। গত বুধবার তাকে রাজস্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ভারতে চিকিৎসক ধর্ষণ-হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ। ছবি: এএফপি
ভারতে চিকিৎসক ধর্ষণ-হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ। ছবি: এএফপি

পুলিশ জানায়, ঘটনার সময় ধর্মেন্দ্র মদ্যপ ছিলেন। ওই নার্সকে দেখার পর তাকে অনুসরণ করতে থাকেন তিনি। নিজের বাসার অ্যাপার্টমেন্টে প্রবেশের আগমুহূর্তে নার্সের ওপর হামলে পড়েন ধর্মেন্দ্র।

উধম সিং নগরের জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার মঞ্জুনাথ টি সি বলেন, ধর্মেন্দ্র ওই নার্সকে পাশের জঙ্গলে টেনে নিয়ে যান। ধর্ষণের পর নার্সের ওড়না দিয়েই তাঁকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেন। এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, ওই নার্সের হাতব্যাগে থাকা তিন হাজার রুপিও চুরি করেন ধর্মেন্দ্র।

পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় মেডিকেল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ব্যাপক বিক্ষোভের মধ্যে এ ঘটনা সামনে এসেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Tribute to July uprising: Drone show lights up Dhaka's sky

In 12 vivid motifs, the July uprising came alive, tracing the heroism of Abu Sayed and the stirring role of women in the movement

12h ago