বাংলাদেশের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের ২০৮ রানের পাহাড়

ডেভন কনওয়ে। ছবি: এএফপি

ওপেনার ডেভন কনওয়ে হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়ে গড়ে দিলেন শক্ত ভিত। সেখানে দাঁড়িয়ে তাণ্ডব চালালেন গ্লেন ফিলিপস। বাংলাদেশের বোলারদের কচুকাটা করে রানের পাহাড় গড়ল নিউজিল্যান্ড।

বুধবার ক্রাইস্টচার্চে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের পঞ্চম ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করেছে স্বাগতিকরা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২০৮ রানের বড় সংগ্রহ জমা করেছে তারা। ফলে বাঁচা-মরার ম্যাচে কঠিন লক্ষ্য পেয়েছে টাইগাররা।

কিউইদের পক্ষে ৪০ বলে সর্বোচ্চ ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন ছন্দে থাকা কনওয়ে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ষষ্ঠ ফিফটির স্বাদ নেন তিনি। এই বাঁহাতি তারকার ব্যাট থেকে আসে ৫ চার ও ৩ ছক্কা। চারে নেমে ফিলিপস ২৫০ স্ট্রাইক রেটে খেলেন। তিনি করেন ৬০ রান। মাত্র ২৪ বল মোকাবিলায় ২ চার ও ৫ ছক্কা হাঁকান তিনি।

ব্যাটিংয়ের জন্য সহায়ক উইকেটে ধুঁকেছেন বাংলাদেশের ছয় বোলারের সবাই। পেসার কিংবা স্পিনার, কেউই পাত্তা পাননি নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের সামনে। পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ছিলেন সবচেয়ে সফল। তবে ৪ ওভারে ২ উইকেট নিতে তিনি খরচ করেন ৩৭ রান। সমান সংখ্যক উইকেট নিতে পেসার ইবাদত হোসেন দেন ৪০ রান।

সাকিব উইকেটশূন্য থাকেন ৪০ রান দিয়ে। বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম ৪১ রানে নেন ১ উইকেট। ২ ওভার করে হাত ঘোরানোর সুযোগ পান সৌম্য সরকার ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। সৌম্য ২১ ও মোসাদ্দেক ২৪ রান দেন।

প্রথম ১০ ওভারে ৮৭ রান তোলা কিউইরা পরের ১০ ওভারে আনে আরও ১২১ রান। বিশেষ করে, ইনিংসের শেষভাগে তারা ছিল দুর্ধর্ষ। শেষ ৫ ওভারে বাংলাদেশ ৩ উইকেট তুলে নিলেও রানের চাকায় লাগাম পরাতে পারেনি। সেসময়ে নিউজিল্যান্ড তোলে ৬৫ রান।

শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হন ফিন অ্যালেন। এই ডানহাতি ওপেনার প্রতি ওভারেই আনতে থাকেন বাউন্ডারি। ফলে উড়ন্ত শুরু পায় নিউজিল্যান্ড।

ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ভাঙে ৪৫ রানের উদ্বোধনী জুটি। শরিফুল ইসলামের বলে টাইমিংয়ে গড়বড় করে ইয়াসির আলি রাব্বির হাতে ক্যাচ দেন অ্যালেন। ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। মাত্র ১৯ বল খেলে মারেন ৩ চার ও ২ ছক্কা।

সিরিজে প্রথমবারের মতো খেলতে নামা মার্টিন গাপটিল এরপর সঙ্গী হন কনওয়ের। দ্বিতীয় উইকেটে আসে ৫৪ বলে ৮২ রানের বড় জুটি। ধীর গতিতে শুরুর পর গাপটিল থামেন ২৭ বলে ৩৪ রানে। ইবাদতের ফুল টসে লং অনে নাজমুল হোসেন শান্তর তালুবন্দি হন তিনি। এর আগেই ৩০ বলে ফিফটি ছুঁয়ে ফেলেন কনওয়ে।

ক্রিজে গিয়েই মারতে থাকেন ফিলিপস। প্রথম কনওয়ের সঙ্গে ১৭ বলে ৩৪ ও পড়ে জেমস নিশামের সঙ্গে ১৮ বলে ৪২ রান যোগ করেন তিনি। দুই জুটিতেই তার সঙ্গীদের ভূমিকা মূলত ছিল দর্শকের। মাত্র ১৯ বলে হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করা ফিলিপস বিদায় নেন শেষ ওভারে। তাকে বোল্ড করে দেন ইবাদত।

এর আগে ১৭তম ওভারে জোড়া শিকার করেন সাইফউদ্দিন। প্রথম বলে সীমানার কাছে কনওয়ে ক্যাচ দেন। আর চতুর্থ বলে মার্ক চ্যাপম্যান হারান স্টাম্প। ওই ওভারে মাত্র ৫ রান দেন সাইফউদ্দিন।

Comments

The Daily Star  | English

Reforms, justice must come before election: Nahid

He also said, "This generation promises a new democratic constitution for Bangladesh."

2h ago