গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন

সরকারকে বিব্রত করতে একটি মহল এ ঘটনা ঘটিয়েছে: আ. লীগ প্রার্থী

ভোট স্থগিতের পরে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা ফুলছড়ি এবং সাঘাটার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল এবং রাস্তায় টায়ারে জ্বালিয়ে অগ্নি সংযোগ করেছেন। ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত করার পর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল হাসান রিপন বলেছেন, এটা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। বর্তমান সরকারের আমলে সাঘাটা-ফুলছড়িতে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আমি মনে করি সরকারকে বিব্রত করতে একটি মহল এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে।

এর আগে, অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচন কমিশন গাইবান্ধা-৫ আসনের সব কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করে। পরে বিকেল ৫ টার দিকে সাঘাটার বোনারপাড়ায় ওই সংবাদ সম্মেলনে করেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল হাসান রিপন।

বিশেষ গেঞ্জি পরা লোকজন আপনার হয়ে ভোট কেন্দ্রে কাজ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে- এমন প্রশ্নের জবাবে রিপন বলেন, 'গত পরশু আমরা অভিযোগ পেয়েছি, আমার ছবি দিয়ে গেঞ্জি তৈরি করে তারা বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে এসেছেন। পার্শ্ববর্তী বগুড়া এবং অনেক জেলা থেকে অনেক সন্ত্রাসী গতকাল ফুলছড়ি-সাঘাটাতে প্রবেশ করেছে। এটা গভীর ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরাসরি সম্পৃক্ত।'

'ভোট স্থগিত করার পরেও অনেক কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলছিল। অনেক প্রিজাইডিং অফিসাররাও কিছু জানেন না। এটা তাদের নিজেরও সিদ্ধান্ত না, কিন্তু ওপরের নির্দেশে তাদের এটা করতে হয়েছে,' বলেন তিনি।

এখন পরবর্তী কোনো কর্মসূচি দেবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এখন কোন কর্মসূচি দেব না। যেসব কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হয়েছে সেসব কেন্দ্রের ফলাফল শিগগির ঘোষণা করা হোক, আর যেসব কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়েছে সেই বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্ত আমি মেনে নিয়েছি। চাইলে এসব কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহণ করা যেতে পারে।'

অন্যদিকে ভোট স্থগিতের পরে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা ফুলছড়ি এবং সাঘাটার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল এবং  রাস্তায় টায়ারে জ্বালিয়ে অগ্নি সংযোগ করেছেন। তারা নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে বাতিল করে ফলাফল ঘোষণার দাবি করেছেন।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

5h ago