গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন নিয়ন্ত্রণের বাইরে: সিইসি

‘ডাকাত-দুর্বৃত্তদের কবলে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন’
cec_habib1.jpg
কাজী হাবিবুল আউয়াল। ফাইল ছবি

গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোট পর্যবেক্ষণের মনিটরিং সেলে বসে সিইসি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, 'আইন ভঙ্গ করে গোপন কক্ষে প্রবেশ করে ভোট দিয়ে দিতে আমরা স্বচক্ষে দেখেছি।'

এই নির্বাচনে ১৪৫ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪৪টি ভোটকেন্দ্র স্থগিত করা হয়েছে।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়া বাকি সব প্রার্থী একযোগে ভোট বর্জন করেছেন।

সিইসি বলেন, 'মূল অ্যাকশন হিসেবে আমরা কেন্দ্র বন্ধ করেছি। এখন চাকরি বিধি অনুযায়ী বা অন্য বিধি অনুযায়ী কী অ্যাকশন নেব তা পরবর্তীতে দেখবো। আমরা টেলিফোনে এসপি, ডিসি, রিটার্নিং অফিসারকে বলেছি যে আমরা এখান থেকে সিসি ক্যামেরায় দেখতো পেয়েছি। তাই সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দিয়েছি। কমিশন যদি মনে করে নির্বাচন সঠিক ভাবে হচ্ছে না, তাহলে নির্বাচন বন্ধ করতে পারে। আমরা সেই আলোকে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত যখন নেব, তখন জানাবো।'

'নির্বাচন কেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেল তা আমরা বলতে পারবো না' উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরা দেখতে পাচ্ছি যে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে অনেকটাই। আপনারাও দেখতে পেয়েছেন যে গোপন কক্ষে কী হচ্ছে এবং সুশৃঙ্খলভাবে নির্বাচন হচ্ছে না। কেন এমন হচ্ছে তা চটজলদি বলতে পারবো না।'

তিনি আরও বলেন, 'আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঠিকমতো কাজ করছে কি না, তা আমরা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। ইভিএমেরও কোনো ত্রুটি দেখতে পাচ্ছি না। ওই যে মানবিক আচরণ, আরেকজন ঢুকে যাচ্ছে, দেখিয়ে দিচ্ছে।'

'এটা সুশৃঙ্খল নির্বাচনের পরিপন্থী। এরাই ডাকাত, এরাই দুর্বৃত্ত। যারাই আইন মানছেন না তাদেরকেই আমরা ডাকাত-দুর্বৃত্ত বলতে পারি। কারণ আইনের প্রতি সকলকে শ্রদ্ধা করতে হবে। সকলে যদি আইন না মানি, নির্বাচন কমিশন এখানে বসে সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারবে না', যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Lives on hold: Workers await reopening of closed jute mills

Five years on: Jute mill revival uneven, workers face deepening poverty

15h ago