ইস্টার্ন রিফাইনারিতে অগ্নিকাণ্ড: তদন্ত প্রতিবেদন জমা, ৩ সুপারিশ

দেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত্ব জ্বালানি তেল শোধানাগার ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডে (ইআরএল) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি রোববার বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
ইস্টার্ন রিফাইনারি
ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড। ফাইল ছবি

দেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত্ব জ্বালানি তেল শোধানাগার ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডে (ইআরএল) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি রোববার বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

প্রতিবেদন জমার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিপিসির পরিচালক (অপারেশন ও পরিকল্পনা) খালিদ আহম্মেদ।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শনিবার ইস্টার্ন রিফাইনারিতে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। কমিটির প্রধান ইআরএলের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) রায়হান আহম্মদ আজ সকালে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। বিপিসি চেয়ারম্যানের পক্ষে প্রতিবেদনটি আমি গ্রহণ করে ঢাকায় পাঠিয়েছি।'

জানা গেছে, তিন পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটিকে দুর্ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলেও উল্লেখ করা হয়। তদন্ত কমিটির সদস্যরা প্রতিবেদনে তিনটি সুপারিশ করেছেন।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ইআরএলের আধুনিক অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা থাকায় আগুন দ্রুত সময়ে নির্বাপন করা সম্ভব হয়েছে। তারপরও আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বন প্রয়োজন ছিল। তাই তদন্ত প্রতিবেদনে তিনটি বিষয় সুপারিশ করা হয়েছে। এগুলো হলো- জ্বালানি তেল সরবরাহ পয়েন্টে আগুন এবং গ্যাস শনাক্তকরণ যন্ত্র (ডিটেক্টর) স্থাপন, রিফাইনারির সব পয়েন্টে সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন, ওয়েল্ডিং কাজ করার সময় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করার সুপারিশ করা হয়েছে। 

তদন্ত কর্মকর্তারা আরও জনান, শনিবার সংগঠিত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ওয়েল্ডিং শ্রমিকদের কাজে গাফিলতি ছিল না। ওই এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সরঞ্জাম ছিল। তাই দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদনটি সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জমা দেওয়া হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

 

Comments