ভারী বর্ষণে ডুবে গেছে খুলনা শহরের অধিকাংশ রাস্তা-নিম্নাঞ্চল

খুলনা শহরের অধিকাংশ রাস্তা ও নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে। ছবি: হাবিবুর রহমান/স্টার

ঘূর্ণিঝড় 'সিত্রাং'র প্রভাবে গতকাল রোববার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে খুলনা শহরের অধিকাংশ রাস্তা ও নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে। দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

খুলনা সিটি করপোরেশন এলাকার মধ্যে সড়ক আছে ১ হাজার ২১৫টি। এর দুই-তৃতীয়াংশ ডুবে গেছে।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের জ্যৈষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এই বৃষ্টি আরও বাড়বে এবং বাতাসের তীব্রতা থাকবে। সন্ধ্যা নাগাদ এটি তীব্র আকার ধারণ করতে পারে।'

খুলনা শহরের অধিকাংশ রাস্তা ও নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে। ছবি: হাবিবুর রহমান/স্টার

খানজাহান আলী সড়ক, কেডিএ এভিনিউ, যশোর রোড ও মজিদ সরণি, শান্তিধাম মোড়, রয়্যাল মোড়, বিআইডিসি রোডের আলমনগরসহ খুলনা নগরীর বিভিন্ন সড়ক বৃষ্টির পানিতে ডুবে নৌকা চলাচলের অবস্থা তৈরি হয়েছে।

আহসান আহম্মেদ রোড, শামসুর রহমান রোড, টুটপাড়া সেন্ট্রাল রোড, বিআইডিসি রোড, শেখপাড়া গোবরচাকা, সোনাডাঙ্গা আবাসিক, মুজগুন্নি আবাসিক, নিরালা আবাসিক এলাকা প্রায় পুরোটাই ডুবে গেছে।

খুলনা দৌলতপুরের সবুজ সংঘ মাঠ এলাকার বাসিন্দা তপন কুমার দাস দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার বাড়ির সামনের ১৯ ফুট রাস্তা, কিন্তু সড়কের এক পাশে একটি মাত্র ড্রেন। সেটিও মাত্র ১ ফুট প্রস্থ। সামান্য বৃষ্টি হলেই ডুবে যায়। নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কার করা এবং আরও বড় করা ছাড়া এই জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব না।'

নগরীর খালিশপুরের নতুন রাস্তার বাসিন্দা রাহুল শেখ বলেন, 'নগরীর অধিকাংশ সংযোগ সড়কে দীর্ঘ সময় পানি জমে থাকে। খালিশপুর হাউজিং পুরাতন ও নতুন কলোনির অপরিকল্পিত রাস্তা ও ড্রেনগুলো বছরের পর বছর সংস্কার ও পরিষ্কার না করায় বৃষ্টি হলেই ড্রেনের পানি উপচে বাসিন্দাদের ঘরে প্রবেশ করে।'

খুলনা সিটি করপোরেশন সূত্র জানিয়েছে, 'খুলনা শহরের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন' নামে একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হয় ২০১৮ সালের জুলাইয়ে। প্রকল্প ব্যয় ছিল ৮২৩ কোটি টাকা। প্রকল্পের প্রথম ধাপের কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের অক্টোবরে। বর্তমানে ২৫টির অধিক ড্রেনে কাজ চলছে।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-Myanmar border landmine explosion

Bangladesh-Myanmar border: Landmine-related injuries on the rise

Having lost her right leg in a landmine explosion, Nur Kaida, a 23-year-old Rohingya woman, now feels helpless at a refugee camp in Teknaf.

11h ago