ডুবে গেছে আমন খেত, দীর্ঘ জলাবদ্ধতায় ক্ষতির আশঙ্কা

আমন ধানের খেত তলিয়ে গেছে। ছবি: হাবিবুর রহমান/স্টার

ঘূর্ণিঝড় 'সিত্রাং'র প্রভাবে গতকাল রোববার রাত থেকে খুলনায় ভারী বর্ষণের কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় আমন ধানের খেত তলিয়ে গেছে।

সরেজমিনে আজ সোমবার দুপুর ১টার দিকে সাতক্ষীরার তালা এলাকায় দেখা যায় পানিতে তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ ধান খেত।

খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বর্ষা পরে আসায় আমন ধান লাগানো হয়েছে প্রায় ১ মাস পরে। তাই আমনের বর্তমানের এই সময়টাকে বলা হচ্ছে ভেজিটেটিভ স্টেজ। এই স্টেজে ক্ষতির আশঙ্কা খুব বেশি নেই। তবে, যদি আরও বেশি বৃষ্টি হয় এবং দীর্ঘ সময় পানি জমে থাকে, তাহলে ক্ষতিরা আশঙ্কা থেকে যাবে।'

যদি আরও বেশি বৃষ্টি হয় এবং দীর্ঘ সময় পানি জমে থাকে, তাহলে আমনের ক্ষতিরা আশঙ্কা থেকে যাবে। ছবি: হাবিবুর রহমান/স্টার

তিনি আরও বলেন, 'আমাদের পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্লুইসগেট আছে ৫২২টি। এর মধ্যে ১৯৩টি একেবারেই নষ্ট। এই নষ্ট স্লুইসগেট দিয়ে পানি অপসারণ করা সম্ভব না হলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাবে।'

এ বছর খুলনা জেলায় ৯৩ হাজার ১৮৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে।

খুলনা বটিয়াঘাটা উপজেলার খলসী বুনিয়া গ্রামের কৃষক নিমাই চন্দ্র রায় বলেন, 'আমি ২০ বিঘার মতো জমিতে আমন চাষ করেছি। গত বছর যে আমন ধান হয়েছিল এ বছর তার থেকে অনেক কম হবে। কারণ বৃষ্টি হওয়ায় আমরা ঠিক সময়ে আমন লাগাতে পারিনি।'

তিনি আরও বলেন, 'এখন যদি অতিরিক্ত বর্ষায় ধান তালিয়ে থাকে, তাহলে উৎপাদন তো অনেক কম হবে।'

'আগে এ রকম বর্ষা হলে আমাদের গ্রামের স্লুইজগেট দিয়ে পানি বের হয়ে যেত। কিন্তু গত ২ বছরের মধ্যে গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া শৈলমারি নদী ভরাট হয়ে গেছে। সেখানে পানি নিষ্কাশনের আর ব্যবস্থা নেই', যোগ করেন তিনি।

 

Comments

The Daily Star  | English

Retired officials’ promotions plunged civil service into crisis

One year into the interim government’s tenure, the public administration ministry remains in disarray

9h ago