ঢাকা-সিলেট ৪ লেন: আরও ২ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি

ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজের জন্য আজ ঢাকায় এক হোটেলে দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে সওজ। ছবি: স্টার

ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পের একটি প্যাকেজের কাজ পেয়েছে চীন-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগের দুটি প্রতিষ্ঠান। সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নিয়োগ করা এই দুই প্রতিষ্ঠান আগামী ডিসেম্বর মাসে মহাসড়ক সম্প্রসারণের ভৌত কাজ শুরু করবে।

সড়ক পথে ঢাকা-সিলেটের দূরত্ব ২১০ কিলোমিটার। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ছয়টি প্যাকেজের আওতায় এই মহাসড়কটি দুই লেন থেকে চার লেনে উন্নীত করা হবে। এর জন্য মোট খরচ ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৯১৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।

আজ সোমবার ঢাকায় একটি হোটেলে প্রতিষ্ঠান দুটির সঙ্গে পৃথক চুক্তি স্বাক্ষর করে সওজ। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে প্রথম প্যাকেজের জন্য দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করে সরকার।

২১০ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে চীনের লংজিয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ কোম্পানি লিমিটেড এবং বাংলাদেশের ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে কাঁচপুর মোড় থেকে চানপাড়া বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার অংশে কাজ করবে।

চুক্তি অনুযায়ী চার বছরের মধ্যে ভৌত কাজ শেষ করতে যৌথ উদ্যোগের প্রতিষ্ঠানটি পাবে ৯২৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।

চীনের ঝেংঝু সিটি হাইওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন লিমিটেড এবং ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের আরেকটি যৌথ উদ্যোগ ১ হাজার ৩৯৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকায় চানপাড়া থেকে নরসিংদী বিসিক এলাকা পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার অংশের কাজ করবে।

প্রতিষ্ঠানটিকে চার বছরের মধ্যে ভৌত নির্মাণ কাজ শেষ করতে হবে।

নির্মাণের চুক্তি শেষ হওয়ার পর এই প্রতিষ্ঠানগুলো ছয় বছর মহাসড়কটির রক্ষণাবেক্ষণের কাজও করবে।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এর সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এই প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য ছয়টি প্যাকেজের অধীনে ১৩টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি প্রথম প্যাকেজের জন্য দুইটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করে। কর্মকর্তারা জানান, অন্যান্য প্যাকেজের দরপত্র প্রক্রিয়া এখন বিভিন্ন পর্যায়ে আছে।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-Myanmar border landmine explosion

Bangladesh-Myanmar border: Landmine-related injuries on the rise

Having lost her right leg in a landmine explosion, Nur Kaida, a 23-year-old Rohingya woman, now feels helpless at a refugee camp in Teknaf.

12h ago