সেন্টমার্টিনে ভেসে আসা কার্গো জাহাজে কেউ নেই

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ও জোয়ারে সেন্টমার্টিনে ভেসে এসেছে একটি কার্গো জাহাজ যেটিতে কোনো নাবিক বা লোকজন নেই।
সেন্টমার্টিন জাহাজ
কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিনে কূলে আটকা পড়েছে জাহাজটি। ছবি: সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ও জোয়ারে সেন্টমার্টিনে ভেসে এসেছে একটি কার্গো জাহাজ যেটিতে কোনো নাবিক বা লোকজন নেই।

কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিনে ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে জাহাজটি দেখতে ভিড় করছে শত শত মানুষ।

আজ সোমবার সকাল ১১টার দিকে সেন্টমার্টিনের ছেঁড়া দ্বীপের মৌসুমি পাথরের পাশে আটকা পড়ে ভেসে আসা কার্গোটি।

স্থানীয় ও কোস্টগার্ডের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব ও জোয়ারের স্রোতে নাবিকবিহীন কনটেইনার কার্গো জাহাজটি ভেসে এসে কূলে আটকা পড়ে। জাহাজটির ওপরের কিছু অংশ খোলা। এতে অনেক কন্টেইনার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় মালামাল রয়েছে। কয়েকটি কক্ষ তালাবদ্ধ।

সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় ও জোয়ারের পানিতে ভেসে আসা জাহাজটি পাথরের পাশে আটকা পড়ে। জাহাজটি দেখতে অনেক লোক ভিড় করছে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নজির আহমেদ জানান, স্থানীয় লোকজন  জাহাজটি দেখার জন্য ভিড় করছে। কোথাকার জাহাজ সেটা উল্লেখ না থাকলেও ইংরেজিতে এইচ আর ৩৩২২ লেখা রয়েছে। সেখানে কিছু কংক্রিট ও কনটেইনার রয়েছে। কিছু কক্ষ তালাবদ্ধ থাকায় ভেতরে কী আছে জানা যায়নি।

সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, কনটেইনার জাহাজের খবরটি স্থানীয়রা আমাকে জানালে বিষয়টি পুলিশ প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনকে জানাই। আপাতত এর বেশি কিছু বলতে পারছি না।

কোস্টগার্ডের টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট আশিক আহমেদ বলেন, জাহাজটি আটকা পড়ার খবরে কোস্টগার্ডের একটি দল সেখানে যায়। প্রাথমিকভাবে  জাহাজটির খোঁজ খবর নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কার্গো জাহাজটি ৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের।  ভেতরে মালামাল রয়েছে। তবে অধিকাংশ কক্ষ তালাবদ্ধ। ঘূর্ণিঝড় শেষে কার্গোটিতে তল্লাশি চালানো হবে।

Comments