খুলনায় রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশ, জনমনে স্বস্তি

ছবিটি আজ মঙ্গলবার খুলনার কয়রা উপজেলার ডাকবাংলো এলাকা থেকে তোলা। ছবি: হাবিবুর রহমান

সকাল থেকে খুলনার আকাশ রৌদ্রজ্জ্বল। আকাশে মাঝেমধ্যে মেঘ দেখা গেলেও আবহাওয়া একেবারেই স্বাভাবিক। তবে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে অতিবর্ষণের কারণে রাস্তাঘাটে এখনো পানি জমে আছে।

আমন ধান ও মাছের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা থাকলেও প্রাথমিকভাবে জেলায় ক্ষয়ক্ষতির তেমন তথ্য পাওয়া যায়নি। 

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব কুমার পাল আজ মঙ্গলবার সকালে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মাছের ক্ষতির কোনো খবর এখনো আমার কাছে আসেনি। কোথাও কোথাও পানি বাড়লেও মাছের ঘেরের ক্ষতি হওয়ার ঘটনা খুব বেশি নেই।'

খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার খুলশী বুনিয়া গ্রামের কৃষক পবিত্র রায় বলেন, 'গত ২ দিনের বৃষ্টিতে যে ভয় পেয়েছিলাম সেই তুলনায় ক্ষয়ক্ষতি খুব একটা নেই। মাছের ঘেরে তেমন একটা ক্ষতি হয়নি। আর কয়েক ঘণ্টা বৃষ্টি হলে হয়তো সব ডুবে যেত।'

ছবি: হাবিবুর রহমান

একই গ্রামের কৃষক জীবন বিশ্বাস বলেন, 'আমন ধানের মাথা পানিতে পড়ে গেছে। পানি সরে গেলে হয়তো আবার সোজা হয়ে যাবে। একটু মনে হয় ফলন কম হবে গত বছরের তুলনায়। কিছু ধান চিটে হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা আছে।'

খুলনাতে ২ লাখ ৬ হাজার ৩২৯ হেক্টর জমিতে পুকুর ও মাছের ঘের আছে। যেখানে ১ লাখ ৯১ হাজার ৫৯৩ হেক্টর জমিতে মাছ চাষ হয়।

খুলনার ডুমুরিয়ার কৃষি কর্মকর্তা ইনসাদ ইবনে আমিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রাথমিকভাবে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। আমরা কাজ শুরু করেছি। ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করা হচ্ছে। কৃষি কর্মকর্তারা তথ্য সংগ্রহের জন্য মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। তবে আমনের খুব বেশি ক্ষতি না হলেও অন্যান্য সবজির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।'

ডুমুরিয়ায় এ বছর ১৫ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে।

খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমনের বর্তমানের এই সময়টাকে বলা হচ্ছে "ভেজিটেটিভ স্টেজ" । তাই ক্ষতির আশঙ্কা খুব একটা নাই। আমাদের অফিসার ও স্টাফরা কাজ করছেন এবং ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নির্ধারণ করা হচ্ছে।'

পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৫২২টি স্লুইসগেটের মধ্যে ১৯৩ একেবারেই নষ্ট। এই নষ্ট গেট দিয়ে গত ২ দিনের পানি অপসারণ করা সম্ভব না হলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাবে, বলে জানান তিনি।

এ বছর খুলনা জেলায় ৯৩ হাজার ১৮৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

2h ago