ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: শরীয়তপুরের দেড় হাজার পরিবার এখনো বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন

সোমবার শরীয়তপুরের বিভিন্ন উপজেলায় গাছ ও বাঁশঝাড় উপড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ও তারের উপর পড়ে। এতে ওইসব এলাকার বাসিন্দারা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। ছবি: সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে গাছ ভেঙে বিদ্যুতের খুঁটির উপর পড়ায় শরীয়তপুরের বিভিন্ন উপজেলার বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দারা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। জেলায় আজ বুধবার পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুতের অধীনে প্রায় দেড় হাজার পরিবার বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছেন।

গত সোমবার বিকেল থেকে আজ বুধবার রাত পর্যন্ত এসব পরিবার বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছেন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন নড়িয়া ও গোসাইরহাট উপজেলার গ্রাহকরা। 

পল্লী বিদ্যুৎ জানায়, আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৫০০ পরিবার বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ছিল। আজ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুতের ১২৫টি দল কাজ করায় ইতোমধ্যে ৪৫ হাজার পরিবার পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছেন। 

আজ রাতের মধ্যে বাকি দেড় হাজার গ্রাহকের বিদ্যুতের লাইন চালু হবে বলে জানিয়েছে শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ। 

শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জুলফিকার রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সোমবার ঝড়ের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীয়তপুরের বিভিন্ন উপজেলায় গাছ ও বাঁশঝাড় উপড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ও তারের উপর পড়ায় সোমবার বিকেল থেকে অনেক এলাকার গ্রাহকরা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।'

'সব ধরনের গাছ আমাদের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ক্ষতি করেছে। তবে চাম্বল গাছ ও বাশঁঝাড় ক্ষতি করেছে বেশি। এগুলো সরাতে আমাদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে,' বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'ঝড়ে বিদ্যুতের ৪৫টি খুঁটি হেলে পড়েছে, ৭৪টি সঞ্চালন লাইনের ইনস্যুলেটর ভেঙে গিয়েছে, ২৮টি ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়েছে, মিটার ভেঙেছে ৪৭০টি, ৩১৫টি স্থানে তার ছিঁড়েছে এবং ১ হাজার ৬৫০টি স্থানে সঞ্চালন লাইনের ওপর গাছ ও বাঁশ ভেঙে পড়েছে।'

জুলফিকার রহমান জানান, জেলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহক মোট ৩ লাখ ৪২ হাজার ৩৫০ জন। তাদের মধ্যে এখন ১ হাজার ৫০০ পরিবার বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন আছেন। 

Comments

The Daily Star  | English

US lowers Bangladesh tariff to 35% from 37%

Failure to secure a more favourable bilateral agreement by the Aug 1 deadline would be a significant blow to the country's export-oriented economy

3h ago