‘বাস চলবে কি না মালিকের সিদ্ধান্ত, আমরা সমাবেশে বাধা দিচ্ছি না’

Home Minister-1.jpg
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল| ফাইল ফটো

বিএনপির সমাবেশে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের বাধা দেওয়া হচ্ছে না, যেখানে চাচ্ছে সেখানেই সমাবেশ করতে পারছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। 

বিএনপি অভিযোগ করেছে পরিবহন ধর্মঘট না হলে গণসমাবেশে বেশি মানুষ হবে সে জন্য এই পরিবহন ধর্মঘট; এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের কোনো চিন্তাই আওয়ামী লীগ সরকার করে না। প্রধানমন্ত্রী সব সময় বলে আসছেন, এগুলো তাদের রাজনৈতিক অধিকার। তাদের সভা-সমিতি করতে আমরা কোনো ধরনের বাধা দিচ্ছি না। যেখানে করতে চাচ্ছে, সেখানেই হচ্ছে। এখন বাস আসবে কি না সেটা ঠিক করে বাস মালিক ও শ্রমিক সমিতি। তারা কী করবে এটা তাদের ব্যাপার, আমরা বাধা দিচ্ছি না।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাস মালিক-শ্রমিকরা দেখেছেন অগ্নিসংযোগ কাকে বলে! বাস নিয়ে বের হলেই আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। সেই যে বিএনপি-আওয়ামী লীগ আন্দোলন শুরু করেছিল, সেই আন্দোলন কিন্তু শেষ করেনি। তারা বলেনি আন্দোলন শেষ হয়ে গেছে, এখন থেকে আমাদের আন্দোলন আর নেই। এটা কিন্তু এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হয়নি। এখন যদি তারা (বাস-ট্রাক মালিক) মনে করেন, তার বাস-ট্রাক-যানবাহন নিরাপদ না তাহলে তারা রাস্তায় নাও নামাতে পারেন। সে জন্য আমরা তাদের জোর করছি না, তারা স্বাধীন। কী করবেন-না করবেন তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। আমাদের এখানে কোনো হাত নেই। তারা যদি মনে করেন, বাস নিয়ে গেলে আবার দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, আগের মতো যেমন বাস পুড়িয়ে দিয়েছে, সে অভিজ্ঞতা তো তাদের রয়েছে! সেই অভিজ্ঞতার আলোকে যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই। এটা তারাই জানে খুব ভালো।

যানজট প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কিছুক্ষণ আগে বিএনপি যুবদল যে জট সৃষ্টি করেছে এই এলাকায়, আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমারই আসতে অন্তত ১৫ মিনিট দেরি হয়েছে। আমি একটার কথা বললাম। মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে আসছে, সহসাই...আমিও তো ভুক্তভোগী।

মেট্রোরেলের জন্য বড় বড় রাস্তা অনেকগুলো অকেজো হয়ে আছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ের জন্য ঠিক সেভাবেই আছে। এখনো আমি বলি, আমাদের ঢাকা শহরে আরও বেশি রাস্তার প্রয়োজন। যেটা এখনো আমরা তৈরি করতে পারিনি। আধুনিক শহরের জন্য অন্তত ২৫ শতাংশ রাস্তা দরকার, আমাদের আছে সাড়ে ৮ শতাংশ। এই জায়গায় আমাদের দুর্বলতা রয়েছে, বলেন কামাল।

Comments

The Daily Star  | English

Once a lifeline, Labondaho now a curse

Abdul Aziz once harvested rice in abundance from his fields next to Labondaho, once a picturesque river located in Indrapur, Gazipur’s Sreepur. Today, he stands on cracked earth, nursing losses and lamenting poisoned waters.

14h ago