‘ঠিকাদারকে বলেছি লিডারের ভাগনে হয়ে আমাদের লজ্জা দেবেন না’

জুড়ী উপজেলায় শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় বৃন্দারঘাট সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করার কথা ছিল গত বছরের সেপ্টেম্বরে। অথচ কাজের মাত্র ৩৫ শতাংশ শেষ হলেও, গত ৫ মাস ধরে বন্ধ আছে সেতুর নির্মাণকাজ।

এ কাজের ঠিকাদার আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমদের ভাগনে মনিরুজ্জামান মনির।

সেতুর কাজ দ্রুত শেষ করতে সম্প্রতি তার সঙ্গে কথা বলেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলা) আসনের সংসদ সদস্য মো. শাহাব উদ্দিন।

ওই কথোপকথন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, 'বৃন্দারঘাট ব্রিজের ঠিকাদার আমাদের লিডার তোফায়েল সাহেবের ভাগনে। আমাদের আত্মীয়, দলের নেতা। তার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। তাকে বলেছি, লিডারের ভাগনে হয়ে আমাদের লজ্জা দেবেন না। আগামী ৩-৪ মাসের মধ্যে ব্রিজের কাজ সম্পন্ন করতে হবে।'

মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন আজ শুক্রবার জুড়ী উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নে জুড়ী নদীর ওপর নির্মিত 'কয়লারঘাট সেতুর' উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন।

এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, এলজিইডি ২০২০ সালের ২৬ অক্টোবর ৬০ মিটার দীর্ঘ আরসিসি গার্ডার 'বৃন্দারঘাট সেতুর' নির্মাণকাজ শুরু করে। ৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে 'মেসার্স মনির ট্রেডার্স' নামের ভোলার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পেয়েছিল।

২০২১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর কাজটি শেষ করার কথা ছিল। অথচ, এ পর্যন্ত কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৩৫ শতাংশ। এদিকে, প্রায় ৫ মাস ধরে সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ আছে। এ অবস্থায় কাজ বাতিলের সুপারিশ করে চলতি বছর ২২ সেপ্টেম্বর এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি চিঠি পাঠান।

সেতুর নির্মাণকাজের বিষয়ে মন্তব্য জানতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক ভোলা পৌরসভার মেয়র ও ভোলা জেলা যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ মরিুজ্জামান মনিরকে একাধিকবার ফোন দিলেও, তিনি ফোন ধরেননি।

তবে এলজিইডি জুড়ী উপজেলা কার্যালয়ের প্রকৌশলী ননী গোপাল দাস দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বৃন্দারঘাট সেতুর নির্মাণকাজের ঠিকাদারের সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যোগাযোগ হয়েছে। দ্রুত ঠিকাদার কাজ শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন।'

Comments

The Daily Star  | English
NSC shop rent scam in Dhaka stadiums

Shop rent Tk 3 lakh, but govt gets just Tk 22,000

A probe has found massive irregularities in the rental of shops at nine markets of the National Sports Council (NSC), including a case where the government receives as little as Tk 22,000 in monthly rent while as much as Tk 3 lakh is being collected from the tenant. 

18h ago