তত্ত্বাবধায়ক আর হবে না, আদালত মিউজিয়ামে পাঠিয়েছে: কাদের

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে আয়োজিত ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের। ছবি: আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজের লাইভ থেকে নেওয়া

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেছেন, তত্ত্বাবধায়কের ভূত মাথা থেকে নামান। এই ভূত নামিয়ে ফেলুন। তত্ত্বাবধায়ক আর হবে না। আদালত মিউজিয়ামে পাঠিয়েছে।

আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে আয়োজিত ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, 'বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, 'তত্ত্বাবধায়কের ভূত মাথা থেকে নামান। এই ভূত নামিয়ে ফেলুন। তত্ত্বাবধায়ক আর হবে না। আদালত মিউজিয়ামে পাঠিয়েছে। আমাদের দোষ নেই। আমরা তো নিষিদ্ধ করিনি। উচ্চ আদালত নিষিদ্ধ করেছে। সেই তত্ত্বাবধায়ক না হলে নির্বাচনে যাবেন না? যাবেন যাবেন, কাদা পানি ঘোলা করে তারপর। সময় এলে দেখা যাবে। নেতাকে মুচলেকা দিয়ে, গোপনে যাবেন। ২০০৮ সালে লন্ডনে চলে গেছেন তারেক রহমান। সেই তারেক রহমান হচ্ছে ফখরুলের নেতা। ফখরুলকে ফরমায়েশ দেয় লন্ডন থেকে। আর ফখরুল এখানে যেমনে নাচাও তেমনি নাচে।'

তিনি বলেন, 'বিএনপির সময় রিজার্ভ ৪ বিলিয়নও ছিল না। চ্যালেঞ্জ করে বলছি বাংলাদেশ ব্যাংকে ৪ বিলিয়ন ডলারও ছিল না। শেখ হাসিনা ৪৮ বিলিয়ন ডালারে পৌঁছেছিলেন। বৈশ্বিক সংকটের কারণে রিজার্ভ ৩৬ বিলিয়নে এসেছে। তারপরও ৪ বিলিয়নে নেই। রিজার্ভ বিএনপি খেয়ে ফেলেছে। বিএনপি এ দেশের অর্থনীতি গিলে খেয়েছে। বিএনপি এদেশের মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ গিলে খেয়েছে। তারা এদেশের স্বাধীনতার আদর্শ গিলে খেয়েছে। এবার যদি ক্ষমতায় যেতে পারে বিএনপি দেশ গিলে ফেলবে। তাই বিএনপি থেকে সাবধান।'

ওবায়দুল কাদের বলেন, 'টাকা ওড়ে আকাশে, টাকা ওড়ে বাতাসে, টাকা ওড়ে পাড়ায়, টাকা ওড়ে মহল্লায়। টাকার খেলা হবে না, খেলা হবে জনগণের সঙ্গে আপনাদের। সেই সাম্প্রদায়িক শক্তির পৃষ্ঠপোষক খুনি সরকার, ডাকাত সরকার- যাদের হাতে বাংলাদেশ নিরাপদ নয়, গণতন্ত্র নিরাপদ নয়, স্বাধীনতা নিরাপদ নয়, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ নিরাপদ নয় তাদের সঙ্গে খেলা হবে। সবাই রেডি আছে।'

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের ৪৭ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে সৎ নেতা শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের ৪৭ বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসকের নাম শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর রক্তাক্ত বিদায়ের পর ৪৭ বছরের সবচেয়ে সফল কূটনীতিকের নাম শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতার নাম শেখ হাসিনা। সবচেয়ে সাহসী নেতার নাম শেখ হাসিনা। মৃত্যুর মিছিলে দাঁড়িয়ে যিনি জীবনের জয়গান গান। ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে তিনি সৃষ্টির পতাকা ওড়ান।'

'বাংলাদেশের মানুষ রাজনীতিতে ও ক্ষমতায় শেখ হাসিনার সৎ লোক চায়, পরিশ্রমী লোক চায়। মানুষের কষ্টে যার রাতের ঘুম নষ্ট। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সাধারণ জীবনযাপন করেন, শেখ রেহানা লন্ডনে বাসে চড়ে যাতায়াত করেন। তাদের সন্তানরাও প্রত্যেকে চাকরি করে খায়। কারো ব্যবসা নেই, কারো হাওয়া ভবন নেই।'

'শেখ হাসিনাকে ২১ আগস্ট হত্যা করতে চেয়েছিল এই বিএনপি। এই খুনিদের কোনোদিন বাংলার মানুষ ভোট দেবে না। এই খুনির সঙ্গে জনগণ নেই। নাচানাচি-লাফালাফি করে কর্মীদের ক্ষমতায় আসার কথা বলছেন, এত আহ্লাদ, এত সুখ! ফখরুল এখন ঠান্ডা হয়ে গেছে, টাকা পাচ্ছে তো। দুবাই থেকে টাকা আসতেছে। আমরা খবর নিয়েছি, কারা পাঠায়। খোঁজ পেয়েছি, ব্যবস্থা হবে,' যোগ করেন তিনি।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, 'আপনারা দলের জন্য কাজ করবেন। মনে রাখতে হবে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে যত চেঁচামেচি করুক, যত সমাবেশ করুক আমাদের কেউ হারাতে পারবে না। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

What we expect from a people-centric health budget

We must strongly advocate for a people-centric health budget.

8h ago