রোহিঙ্গা নেতা মুহিব্বুল্লাহ হত্যা মামলা: ৩ দিনে সাক্ষ্য দিলেন ৫ জন

রোহিঙ্গা নেতা মুহিব্বুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

রোহিঙ্গা নেতা মুহিব্বুল্লাহ হত্যা মামলায় আজ বুধবার আরও ২ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। এ নিয়ে গত ৩ দিনে মোট ৫ সাক্ষী সাক্ষ্য দিলেন।

আজ বুধবার কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালত তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

আজ  সাক্ষ্য দেন মুহিব্বুল্লাহর আপন ছোটভাই আহমদ উল্লাহ, রোহিঙ্গা নাগরিক কাশেম মিয়া।

এর আগে, সোমবার এই মামলার বাদী ও ১ প্রধান সাক্ষী মুহিব্বুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবউল্লাহ এবং মঙ্গলবার নূরে আলম ও হামিদ মাঝি সাক্ষ্য দেন।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, ১৫ নভেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার সাক্ষ্য দেওয়ার সময় আদালতের কাঠগড়ায় থাকা এক আসামি সাক্ষী নুরে আলমকে হাতের ইশারায় হত্যার হুমকি দেন। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হলে বিচারক আসামি ও তার আইনজীবীকে সতর্ক করেন। এ কারণে আজ আদালতে  নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী জানান, সাক্ষীরা আদালতকে জানিয়েছেন মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনে জোরালো ভূমিকা পালন করছিলেন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহ। এ কারণে ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার কুতুপালংয়ের লম্বাশিয়া ১-পূর্ব নম্বর ক্যাম্পের ডি ব্লকে নিজ সংগঠনের কার্যালয়ে বন্দুকধারীরা তাকে গুলি করে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ডের পরদিন মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে উখিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সাড়ে ৮ মাস তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উখিয়া থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী সালাহ উদ্দীন ২৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে ৩৮ জনকে সাক্ষী করা হয়। আদালত শুনানি শেষে ১১ সেপ্টেম্বর ২৯ জন আসামির বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করেন।

বর্তমানে মুহিবুল্লাহ'র পরিবারের ২৫ জন সদস্য কানাডায় বসবাস করছেন। প্রথম দফায় ৩১ মার্চ স্ত্রীসহ ১১ জন এবং দ্বিতীয় দফায় ২৫ সেপ্টেম্বর ১৪ জন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে কানাডা পাড়ি জমান জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার সহায়তায়।

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

7h ago