‘খেলা হবে’ পলিটিক্যাল স্লোগান: ওবায়দুল কাদের

ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

বাড়াবাড়ির বিরুদ্ধে খেলা হবে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, 'বিএনপি নাকি ১০ ডিসেম্বর রাস্তায় বেরুবে, বিজয় মিছিল করবে খালেদা জিয়াকে নিয়ে। তার মানে লাঠিসোটা নিয়ে নামবেন। এর বিরুদ্ধে খেলা হবে। বাড়াবাড়ি করলে ছাড় দেব না।'

আজ রোববার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

'খেলা হবে' স্লোগান নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের সমালোচনার জবাবে কাদের বলেন, 'ভারতে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন হয়েছে। সেখানে মমতা ব্যানার্জি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে জিতেছেন। সেখানে মূল স্লোগান ছিল 'খেলা হবে'। নরেন্দ্র মোদিও দুর্নীতি, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে খেলা হবে এগুলো বলে বক্তব্য দিয়েছেন। রাজনীতিতে এই পলিটিক্যাল হিউমার আছে। জনগণ তো এটা অপছন্দ করছেন না। আপনি কেন করছেন? আমি বলব- এটা একটা পলিটিক্যাল স্লোগান। পশ্চিমবঙ্গ ও ভারতে এই স্লোগান বেশি হয়েছে। তাতে কি গণতন্ত্র হালকা হয়ে গেছে? জনগণ কি সেটা মনে করে? জনগণ তো সমস্বরে স্লোগান দিচ্ছে। যেহেতু জনগণ বলছে আমি তো সেজন্য বলছি। হালকা কথা। হালকা কৌতুক রাজনীতিতে আছে। গণতান্ত্রিক দেশে আরও বেশি হয়। অশালীন ভাষায় আমরা কিন্তু কথা বলি না।'

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে কাদের বলেন, আমরা তো মারামারি করতে বলিনি। বলছি- এই যে ‍দুর্নীতিটা করেছেন, ৫ বার চ্যাম্পিয়ান হয়েছেন। এর বিরুদ্ধে।

বৈশ্বিক মহামারিকে পুঁজি করে বিএনপি অপরাজনীতি করতে চায় এমন দাবি করে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, 'সারা দুনিয়ায় দুর্ভোগ। এদেশের প্রধানমন্ত্রী রাতে ‍ঘুমান না। সারারাত জেগে থাকেন। তারও কষ্ট হয় সাধারণ মানুষ কষ্ট করছেন, দুর্ভোগে আছে দেখে। সারা দুনিয়ায় মানুষ দুর্ভোগে আছে। পৃথিবীর অন্য দেশে এজন্য কেউ সরকারকে দায়ী করছে না। সরকারের পতন দাবি করছে না। আপনারা বৈশ্বিক সংকটের জন্য সরকারের পদত্যাগ দাবি করছেন। যেই সরকার এদেশে সবচেয়ে জননন্দিত সরকার। ৭৫ পরবর্তীকালে শেখ হাসিনার চেয়ে সৎ প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন? বলেন? এত দক্ষ প্রশাসক। করোনা কীভাবে মোকাবিলা করেছেন? বিনাপয়সায় ভ্যাকসিন দিয়েছেন। যা উন্নত দেশও দিতে পারেনি। সোমালিয়ায় দুর্ভিক্ষে ৩৬ সেকেন্ডে একজন মারা যাচ্ছে। সেখানে তো জনগণ সরকার পতনের দাবি করেননি।'

বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির জবাবে বলেন, 'তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে উচ্চ আদালত মিউজিয়ামে পাঠিয়েছে। সেই তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে লাফালাফি। বাড়াবাড়ি। রাস্তায় হুমকি। জাতীয় পতাকা লাঠির সঙ্গে বেঁধে রাস্তায় নামেন। এটা হচ্ছে বাড়াবাড়ি। এই বাড়াবাড়ির বিরুদ্ধে খেলা হবে। প্রধানমন্ত্রী যেটা বলেছেন সেটা বাড়াবাড়ির জন্য বলেছেন। আমরা ছাড় দিচ্ছি। কিন্তু মনে রাখবেন বাড়াবাড়ি করলে ছাড় দেব না। পরিষ্কার কথা।'

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

1h ago