এবার অল্পের জন্য সেঞ্চুরি পেলেন না মুশফিক

ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে আগের দেখায় সেঞ্চুরি করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। দলটির বিপক্ষে ফিরতি ম্যাচেও ছিলেন আরেকটি সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে।
ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে আগের দেখায় সেঞ্চুরি করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। দলটির বিপক্ষে ফিরতি ম্যাচেও ছিলেন আরেকটি সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে। কিন্তু একদম কাছে গিয়ে এবার তাকে পুড়তে হয়েছে আক্ষেপে। জাতীয় ক্রিকেট লিগে মুশফিকের নার্ভাস নাইটিতে আউট হওয়ার দিনে সেঞ্চুরি পেয়েছেন চট্টগ্রামের পিনাক ঘোষ। এদিকে একদিন আগেই ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ম্যাচ হেরেছে শিরোপার দৌড়ে থাকা সিলেট বিভাগ। খুলনার বিপক্ষে পাত্তা পায়নি বরিশাল বিভাগ।

বুধবার কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৯৭ রানে আউট হন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মুশফিক। তার ইনিংসে ভর করে অবশ্য রাজশাহী বিভাগ এরমধ্যে লিড নিয়ে নিয়েছে ১৩৮ রানের।

শেষ বিকেলে সেঞ্চুরি তোলা নেওয়া একদম সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল অভিজ্ঞ মুশফিকের। লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের বলে পুল করে চার চার মেরে ব্যাট উঁচিয়ে ধরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু টাইমিং গড়বড়ে তার সহজ ক্যাচ জমা পড়ে মিড উইকেটে।

১৫৫ বলে ১২ চারে ৯৭ রান করেন মুশফিক। দ্বিতীয় ইনিংসে রাজশাহী দিন শেষ করে ৭ উইকেটে ২৫৯ রান করে। প্রথম ইনিংসে তাদের ২৫২ রানের জবাবে ৩৭৩ রানে অলআউট হয় ঢাকা মেট্রো। ফলে ১৩৮ রানের লিড জমা হয়েছে সানজামুল ইসলামের দলের। অধিনায়ক সানজামুল ২০ রান নিয়ে ক্রিজে আছে। শেষ তিন উইকেটে লিড বাড়িয়ে শেষ দিনে ম্যাচ জেতারও চেষ্টা করতে পারে তারা।

পিনাকের সেঞ্চুরি

বিকেএসপির চার নম্বর গ্রাউন্ডে প্রথম স্তরের ম্যাচে বুধবার দিনভর ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগের পিনাক ঘোষ। ২৬৩ রানের লিড নিয়ে রংপুর বিভাগ ইনিংস ছেড়ে দেওয়ার পর ব্যাট করতে নেমে সৈকত আলিকে ওপেন করতে নেমে ১৭৪ রানের জুটি গড়েন পিনাক। সৈকত ৭৮ করে থামলেও তিনি পুরো করেন প্রথম শ্রেণীতে তার পঞ্চম সেঞ্চুরি।

সেঞ্চুরির ঠিক পর পরই অবশ্য নাসির হোসেনের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। ২৬৪ বলের ইনিংসে ১০ চারে ১০৩ রান করেছেন এই বাঁহাতি।

পিনাকের সেঞ্চুরির পরও অবশ্য স্বস্তিতে নেই চট্টগ্রাম। ৪ উইকেটে ২২২ রান তুলেছে তারা। এখনো রংপুরের থেকে পিছিয়ে আছে ৪১ রানে। শেষ দিনে চট্টগ্রামের ইনিংস মুড়ে দিয়ে ম্যাচ জেতার ভালো সুযোগ আছে শিরোপার দৌড়ে বেশ ভালো সম্ভাবনায় থাকা রংপুর।

টেবিলের শীর্ষে থাকা সিলেটের হার

লিগ জেতার রেসে সবার চেয়ে এগিয়ে ছিল সিলেট বিভাগ। নিজেদের ঘরের মাঠে পঞ্চম রাউন্ডে এসে জোর ধাক্কা খেল তারা। প্রথম স্তরের ম্যাচে ঢাকা বিভাগের কাছে ৩৩৩ রানে বিধ্বস্ত হয়েছে তারা।

৪৯৫ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় লড়াই একদমই জমাতে পারেনি জাকির হাসানের দল। ওপেনার তৌফিক খান তুষার (৫৮) ছাড়া আর কেউই পাননি বলার মতো রান। অধিনায়ক জাকির শেষ পর্যন্ত টিকে চেষ্টা করলেও ৩২ রানের বেশি করা হয়নি তারও। সিলেটের ইনিংস মুড়ে দেন ঢাকার তিন পেসার। সুমন খান ৩১ রানে নেন ৩ উইকেট, সালাউদ্দিন শাকিল ৫২ রানে ধরেন ৩ শিকার। তরুণ রিপন মন্ডল ৩৩ রানে পান ২ উইকেট।

সহজেই জিতল খুলনা

বরিশালকে ফলোঅনে ফেলে বড় জয়ের মঞ্চ তৈরি করে রেখেছিল খুলনা। দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচ একপেশেই হয়েছে। মঈন খানের সেঞ্চুরিতে বরিশাল ইনিংস হার এড়াতে পারলেও প্রতিপক্ষকে বড় লিড দিতে পারেনি।

৯০ রানের লক্ষ্য কোন উইকেট না হারিয়েই তুলে নেয় খুলনা। অমিত মজুমদার ৩৩ ও হাসানুজ্জামান অপরাজিত থাকেন ৫৬ রানে। প্রথম ইনিংসে খুলনার ৩১৫ রানের জবাবে ১৪৫ রানে গুটিয়ে ফলোঅনে পড়েছিল বরিশাল। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫৬ রান জড়ো করেও লাভ হয়নি।

 

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago