‘রাজনৈতিক সম্পর্কে বিএনপির তোলা দেয়াল আরও উঁচু হয়েছে’

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্কে বিএনপি যে দেয়াল তুলেছিল তা পর্যায়ক্রমে আরও উঁচু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
Obaidul Quader
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ফটো

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্কে বিএনপি যে দেয়াল তুলেছিল তা পর্যায়ক্রমে আরও উঁচু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর জিরো পয়েন্টে শহীদ নূর হোসেন চত্বরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক সম্পর্কে যে উঁচু দেয়াল বিএনপি তুলেছিল, পারস্পারিক সম্পর্কে সেই উঁচু দেয়াল ৩ নভেম্বর আরও উঁচু হলো, ২১ আগস্ট আরও উচ্চতা পেল। এটা গণতন্ত্র বিকাশের পথে অন্তরায়। তারপর আমাদের দেশে আরও অনেক ঘটনা ঘটেছে। এখানে সাম্প্রদায়িকতা, আগুন সন্ত্রাস, '১৩-১৪ থেকে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি। গণতন্ত্র ১ চাকার বাইসাইকেল নয়। সরকারের দায়িত্ব আছে, বিরোধী দলেরও দায়িত্ব আছে।

আমি মনে করি, সরকারে থাকতেও গণতন্ত্রের ক্ষতি করেছে। বিরোধী দলে গিয়েও তারা গণতন্ত্রের ক্ষতি করেছে। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণতা, পরিপূর্ণতা এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে আমরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের এ লড়াই অব্যাহত থাকবে, বলেন কাদের।

বিএনপি অভিযোগ করছে সরকার আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করতে আগুন সন্ত্রাসের ইস্যু জাগ্রত করছে; এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপি নিজেরা প্রতিজ্ঞা করুক, তারা আর আগুন সন্ত্রাস করবে না এবং সেটি তারা মাঠে বাস্তবায়ন করুক। লাঠি নিয়ে কেন বের হয়েছে? এটা কোন গণতান্ত্রিক আন্দোলন! জাতীয় পতাকা লাঠির সঙ্গে বেঁধে তারা আন্দোলন করবে, এটাও তো আরেক সন্ত্রাস! এগুলো বন্ধ করতে হবে।

১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর সচিবালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করে ১৫ দল, ৭ দল ও ৫ দল। সেই কর্মসূচি সম্পৃক্ত ছিল ছাত্র সংগঠনগুলো। এক পর্যায়ে অবস্থান ধর্মঘট ঘেরাও কর্মসূচিতে রূপ নেয়।

সকাল থেকেই সচিবালয়ের চারদিক থেকে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার মিছিল আসতে শুরু করে। তোপখানা রোডের মুখে পুলিশ বক্স পেরিয়ে শুরু হয় নূর হোসেনদের মিছিল, তার গায়ে লিখেছিল 'স্বৈরাচার নিপাত যাক-গণতন্ত্র মুক্তি পাক'।

তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। সে সময় জানা যায় পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়েছেন নূর হোসেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

১৯৯০ সালের ৪ ডিসেম্বর স্বৈরাচারী শাসক পদত্যাগের ঘোষণা দেয়।

Comments