সিলেটে বিএনপির গণসমাবেশ: শুক্র ও শনিবার মৌলভীবাজারে বাস ধর্মঘট

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

এবার সিলেটে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের আগে মৌলভীবাজারে ২ দিনের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হলো। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে মৌলভীবাজার জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতি।

আজ বিকালে ধর্মঘটের ডাক দেওয়ার সময় এর কারণ হিসেবে মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধসহ কয়েকটি দাবির কথা উল্লেখ করেছে বাসমালিকদের সংগঠনটি। তবে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ভাষ্য, গণসমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতেই এই 'অপকৌশল' নেওয়া হয়েছে।

আগামী শনিবার সিলেটে সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ হওয়ার কথা আছে। এর আগে ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল ও ফরিদপুরে বিএনপির গণসমাবশের সময় বিভিন্ন দাবিতে বাস, নৌযান ও তিন চাকার যানবাহনের ধর্মঘট হয়েছে।

মৌলভীবাজার জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির চেয়ারম্যান রশিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন বলেন, মৌলভীবাজার বাসমালিকদের পক্ষ থেকে তাদের বাস না চালানোর জন্য বলা হয়েছে। এ কারণে শুক্র ও শনিবার বাস বন্ধ রাখা হবে।

মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বাস চলাচল বন্ধ করা হবে, এটা আমরা আগে থেকেই জানি। এটা বাস মালিকদের নয় এটা সরকারে ধর্মঘট, আওয়ামী লীগের ধর্মঘট। কারণ, ময়মনসিংহ, খুলনায় ও সর্বশেষ ফরিদপুরে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে সরকার গণসমাবেশ বানচাল করতে চেয়েছিল। কিন্তু তা করতে পারেনি।

তিনি বলেন, সমাবেশ সফল করার জন্য স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা এবং বিভাগের জেলা ও উপজেলাগুলোতে প্রস্তুতিমূলক সভা করেছেন। শনিবার সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হবে।

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মৌলভীবাজার জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির চেয়ারম্যান রশিদ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলছেন, মহাসড়কে লাইসেন্সবিহীন তিন চাকার অবৈধ যান চলাচল বন্ধ ও মৌলভীবাজার-সিলেট সড়কে হয়রানির প্রতিবাদে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, মহাসড়কে ভটভটি, নছিমনসহ তিন চাকার গাড়ি চলাচল করার কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়ি বন্ধের জন্য বিভিন্ন সময় দাবি জানানো হলেও দাবি পূরণ করা হচ্ছে না। তাই তারা ধর্মঘট ডেকেছেন। বিএনপির সমাবেশের সঙ্গে বাস বন্ধের কোনো সম্পর্ক নেই।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

8h ago