নির্বাচন কমিশনাররা ঢাকা বসে ক্যামেরা দিয়ে ভোট চুরি দেখেন: কাদের সিদ্দিকী

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, 'আজকাল যারা নির্বাচন কমিশনার হন তাদের মেরুদণ্ড নেই, কোনো ব্যক্তিত্ব নেই। মানুষ হিসেবে একটা যে মর্যাদা থাকে, কমিশনারদের তাও নেই। তারা এখন ক্যামেরা ব্যবহার করে ঢাকা বসে ভোট চুরি দেখেন।'
টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলা ডাকবাংলো চত্বরে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আয়োজিত জনসভায় কাদের সিদ্দিকী। ছবি: সংগৃহীত

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, 'আজকাল যারা নির্বাচন কমিশনার হন তাদের মেরুদণ্ড নেই, কোনো ব্যক্তিত্ব নেই। মানুষ হিসেবে একটা যে মর্যাদা থাকে, কমিশনারদের তাও নেই। তারা এখন ক্যামেরা ব্যবহার করে ঢাকা বসে ভোট চুরি দেখেন।'

আজ বুধবার বিকেলে টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলা ডাকবাংলো চত্বরে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় সংসদের টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখিপুর) আসনের উপনির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, '১৯৯৯ সালে ১৫ নভেম্বর বিএনপি যদি ভোট চুরির প্রতিবাদ করত তাহলে আজ তাদের কান্নাকাটি করতে হতো না।'

কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, 'কয়েকদিন ধরে শুনছি, বন বিভাগ সখিপুরের স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দিচ্ছে। যাদের বাড়িঘর আছে, যারা ধান ফলায়, পাট ফলায়, সবজি চাষ করে, তাদের এক ইঞ্চি জায়গার মধ্যে যদি বন বিভাগ মাতব্বরি করতে যায়, তাদের সখিপুর থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে। যার যেভাবে জায়গা আছে, সে ওইভাবেই ভোগ করবে। এতে কোনো হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না।'

দলের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আবদুস ছবুর খান সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা বীর প্রতীক, যুগ্ম সম্পাদক প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিকী, সরকারি সাদত কলেজের সাবেক ভিপি শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী, দলের জেলা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম সরকার, জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এটিএম সালেক হিটলু, বাসাইল উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি রাহাত হাসান টিপু, দুলাল হোসেন মাস্টার, আশিক জাহাঙ্গীর।  

Comments