বিদেশের মতো সব ক্যাবল আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাবে: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা শহরে ক্যাবল-ট্রান্সফর্মার আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাবে, ঝোলানো থাকবে না বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি আরও বলেন, এতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত হবে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্রাহকরা যাতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পায় সে লক্ষ্যে ডিপিডিসি এলাকা অর্থাৎ পুরান ঢাকা, বিশ্ববিদ্যালয়, মোহাম্মদপুর, হাতিরঝিল এবং নারায়ণগঞ্জে কিছু এলাকায় পুরো সিস্টেম আপগ্রেড করতে ৪ বছর আগে চীনের সঙ্গে প্রায় ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের জিটুজি (সরকারের সঙ্গে সরকারের) প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। সেটি এখন চলমান।

করোনার কারণে আমাদের ২ বছর বিলম্বিত হয়েছে কারণ অর্থদাতা এবং যারা কাজ করছেন তারা আসতে পারেননি। গত বছর থেকে আবার কাজ শুরু হয়েছে। ঢাকার বিভিন্ন এলাকার উপকেন্দ্র আমরা আপগ্রেড করছি। আরেকটি বড় প্রকল্প এর সঙ্গে সংযুক্ত; আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল। ধানমন্ডি এলাকায় আমরা প্রথম শুরু করেছি। বিদেশের মতো সব ক্যাবল আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাবে। আগামী সপ্তাহ থেকে এই কাজ শুরু হবে। নকশা চূড়ান্ত, ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি হয়ে গেছে। ট্রান্সফর্মার আর কেউ ঝোলানো অবস্থায় দেখবে না, কোনো তার দেখবে না, বলেন তিনি।

নসরুল হামিদ আরও বলেন, শুধু ইলেকট্রিক লাইন না, ফাইবার অপটিক ক্যাবলও থাকবে। আমরা আরও নকশা করে ফেলছি আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল কীভাবে হবে। ধানমন্ডির কাজ শেষ হলে আমরা ডিপিডিসির বাকি এলাকায় পর্যায়ক্রমে কাজ শুরু করবো। ধানমন্ডির কাজ শেষ হলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ থাকবে। ঝড়-বৃষ্টিতেও কোনো সমস্যা হবে না। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ীভাবে ব্যবহার করার জন্য আমরা স্মার্ট গ্রিডের দিকে যাচ্ছি। যেসব জায়গা সাব-স্টেশনের জন্য পড়েছিল; একতলা, সেগুলো আন্ডারগ্রাউন্ড করে উপরে বহুতল করে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করতে পারছি। তাতে ডিপিডিসির আয় হবে এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার ব্যবস্থা হবে।

ধানমন্ডির আগে নসরুল হামিদ তেজগাঁও এলাকার উপকেন্দ্র পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, আমরা ডেসকোর প্রকল্প করে ফেলেছি। পূর্বাচল, উত্তরা, মিরপুর, গুলশান ও বারিধারা জন্য নকশা প্রস্তুত করা হচ্ছে। আর্থিক সহযোগিতা কীভাবে হবে সেই পরিকল্পনা চলছে। আমরা আশা করি, আগামী ৫ থেকে ৬ বছরের মধ্যে ঢাকার বড় অংশের কাজ শেষ হবে। ধানমন্ডির কাজ শেষ হতে ৩ বছর সময় লাগবে।

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

13h ago