ছিনিয়ে নেওয়া জঙ্গি ধরতে বনানীর ৩ হোটেল ও ৩ মেস ঘিরে রেখেছে পুলিশ
আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া জঙ্গি সদস্যদের গ্রেপ্তারে রাজধানীর বনানীর ৩টি হোটেল ও ৩টি মেস ঘিরে রেখেছে পুলিশ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপকমিশনার আব্দুল আহাদ বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, 'মাদক ব্যবসায়ী, জঙ্গি ও অপরাধীদের ধরতে বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।'
এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, 'অভিযানের অংশ হিসেবে গুলশান এলাকাতেও তল্লাশি চৌকির সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।'
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের প্রধান উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিজয় দিবসের আগে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ১ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর সারাদেশে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিশেষ অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। তারই অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালিত হলো। তবে এ ধরনের অভিযান এক-দেড় মাস পরপর পরিচালিত হয়। মামলার আসামি, চোরাকারবারি, মাদক নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করা হয়ে থাকে।'
গত ১৯ নভেম্বর পুলিশ সদর দপ্তরের অপারেশন শাখার পাঠানো এক আদেশ অনুযায়ী, সব জেলার সব পুলিশ ইউনিটের প্রধান ও পুলিশ সুপারদের ১ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে অভিযান পরিচালনা করতে বলা হয়েছে।
কাকলী এলাকার নর্থ সিটি আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের ৬ তলা হোটেলের ২৬টা রুম রয়েছে। আজকে ১৫টা রুমে অতিথি থাকছেন। রাত ৯ থেকে ১০টা পর্যন্ত পুলিশি অভিযানের সময় হোটেলের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলা হয়েছিল। হোটেলে থাকা ১৫ জন অতিথিকেও তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। পরে পুলিশ সদস্যরা এখান থেকে চলে গেছেন।'
পরে অন্যান্য হোটেল ও মেসে অভিযান চলছিল বলে জানান তিনি।
এদিকে রাত ১১টার দিকে অভিযান শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বনানী থানার (ওসি) নুরে আজম মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কাকলী এলাকায় রাত ১১টায় অভিযান শেষ হয়েছে। কাউকে আটক করা হয়নি।'
Comments