আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স ম্যাচের নানা পরিসংখ্যান

দুটি করে বিশ্বকাপ জিতেছে দুই দলই। এবার লড়াইটা এগিয়ে যাওয়ার। আর সে মহারণে রাতেই মুখোমুখি হচ্ছে আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। শেষ পর্যন্ত কাদের হাতে উঠবে এ শিরোপা তা জানা যাবে রাতেই। তবে লড়াইয়ের আগে আলোচনায় নানা পরিসংখ্যান। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সে সকল পরিসংখ্যানের কিছু অংশ-

১) সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ১২ বার মুখোমুখি হয়েছে ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা। তাতে আর্জেন্টিনা জিতেছে ছয়টি ম্যাচে। ফ্রান্সের জয় তিনটি ম্যাচে। অপর তিনটি ম্যাচ ড্র হয়েছে।

২) বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত তিনবার মুখোমুখি হয়েছে দল দুটি। এখানেও এগিয়ে রয়েছে আলবিসেলেস্তেরা। ১৯৩০ বিশ্বকাপে ১-০ গোলে ও ১৯৭৮ বিশ্বকাপে ২-১ গোলে প্রথম দুটি মোকাবেলায় জয় পায় আর্জেন্টিনা। তবে সবশেষ রাশিয়া বিশ্বকাপে শেষ ষোলোতে ৪-৩ গোলে জয় পায় ফ্রান্স।

৩) নিজেদের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলবে আর্জেন্টিনা। ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ সালে ট্রফি ঘরে তুলেছিল তারা, রানার্স আপ হয়েছিল ১৯৩০, ১৯৯০ ও ২০১৪ সালে। তাদের চেয়ে বেশি ফাইনালে খেলেছে কেবল জার্মানি (আটবার)।

৪) এর আগে তিনবার বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছে ফ্রান্স। ১৯৯৮ ও ২০১৮ সালে শিরোপা উঁচিয়ে ধরা তারা, রানার্স আপ হয় ২০০৬ সালে।

৫) সবশেষ ৪২ ম্যাচে মাত্র একবারই হেরেছে স্কালোনির দল। এই বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের বিপক্ষে হারে তারা।

৬) ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসের দ্বিতীয় দল হিসেবে প্রথম ম্যাচ হারার পর শিরোপা জয়ের কীর্তি গড়ার হাতছানি আর্জেন্টিনার সামনে। ২০১০ সালে প্রথমবার এই কীর্তি দেখিয়েছিল স্পেন।

৭) এবারের বিশ্বকাপে মোট ২১টি গোলের সুযোগ তৈরি করেছেন আতোঁয়ান গ্রিজম্যান। যা চলতি বিশ্বকাপে কোনো খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ। ১৮টি সুযোগ তৈরি করে তার ঠিক পরেই আছেন মেসি।

৮) পাঁচ গোল করে গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে সমানে সমানে লড়ছেন দুই শিবিরের দুই তারকা মেসি ও এমবাপে। অ্যাসিস্টের দৌঁড়ে এগিয়ে রয়েছেন ক্ষুদে জাদুকর। তার তিনটি অ্যাসিস্টের বিপরীতে এমবাপের অ্যাসিস্ট দুটি।

৯) তৃতীয় আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় হিসেবে গোল্ডেন বুট জয়ের দ্বারপ্রান্তে মেসি। ১৯৩০ বিশ্বকাপে গুইলারমো স্তাবিলে ও ১৯৭৮ বিশ্বকাপে মারিও ক্যাম্পেস পেয়েছিলেন আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতার এই পুরস্কার।

১০) দ্বিতীয় ফরাসি খেলোয়াড় হিসেবে গোল্ডেন বুট জয়ের দ্বারপ্রান্তে এমবাপে। ১৯৫৮ সালে ১৩টি গোল দিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন ফ্রান্সের জঁ ফতেঁ। যা নির্দিষ্ট একটি বিশ্বকাপে কোনো একজন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ গোল। 

১১) সর্বশেষ ২০০২ সালে টানা দুটি (তিনটি) বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার কৃতিত্ব দেখিয়েছিল ব্রাজিল। এবার ফ্রান্সও নাম লেখালো তাতে। দেশমের শিষ্যদের সামনে আছে তৃতীয় দল হিসেবে টানা দুটি বিশ্বকাপ জয়ের হাতছানিও। এই কীর্তি আছে কেবল ইতালি (১৯৩৪ ও ১৯৩৮) ও ব্রাজিলের (১৯৫৮ ও ১৯৬২)।

১২) কাতারে এখন পর্যন্ত ১২টি গোল করেছে আর্জেন্টিনা যা ১৯৮৬ সালে তাদের সর্বশেষ শিরোপা জয়ের আসরের তুলনায় কেবল দুটি কম।

১৩) বিশ্বকাপে পেনাল্টি শ্যুটআউটে সেরা সাফল্য আর্জেন্টিনার। এখন পর্যন্ত ছয়বার এ ভাগ্য পরীক্ষায় নেমে পাঁচবার জিতেছে দলটি। একমাত্র হারটি ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে স্বাগতিক জার্মানির বিপক্ষে। 

১৪) সৌদির বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে হারের পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে আর্জেন্টিনা। পরের পাঁচ ম্যাচে মাত্র তিন গোল হজম করেছে স্কালোনির শিষ্যরা। তিনটি ম্যাচে ক্লিনশিট পেয়েছে তারা।

১৫) এবারের বিশ্বকাপে একটি ক্লিন শিট রাখতে পেরেছে ফ্রান্স। সবশেষ সেমি-ফাইনালে মরক্কোর বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ে। জুন থেকে এখন পর্যন্ত খেলা ১২টি ম্যাচে মাত্র দুইবার এই কৃতিত্ব দেখাতে সক্ষম হয়েছিল দেশমের শিষ্যরা।

Comments

The Daily Star  | English
CAAB pilot licence irregularities Bangladesh

Regulator repeatedly ignored red flags

Time after time, the internal safety department of the Civil Aviation Authority of Bangladesh uncovered irregularities in pilot licencing and raised concerns about aviation safety, only to be overridden by the civil aviation’s higher authorities.

12h ago