মিছিলে বাধা ও মোবাইল তল্লাশির অভিযোগ জাবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর মশাল মিছিলে ২ দফা বাধা এবং এক আন্দোলকারীর মোবাইল ফোন তল্লাশির অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।
রাষ্ট্রীয় গুম-খুন-নীপিড়নের বিরুদ্ধে জাবিতে প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর মশাল মিছিল। ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর মশাল মিছিলে ২ দফা বাধা এবং এক আন্দোলকারীর মোবাইল ফোন তল্লাশির অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।

গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে রাষ্ট্রীয় গুম-খুন-নীপিড়নের বিরুদ্ধে বের হওয়া মিছিলে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী সীমান্ত বর্ধনের মোবাইল তল্লাশি করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সীমান্ত বর্ধন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শিবির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আমার মোবাইল কেড়ে নেয়। কিন্তু আমি তো ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী। তারা আমার মোবাইল তল্লাশি করে, যা অনৈতিক। এটা আমার ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় আঘাত।'

জাবি ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমর্ত্য রায় ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ছাত্রলীগ আমাদের মিছিলে এসে মোবাইল তল্লাশি করতে পারে না। স্লোগান দেওয়ার সময় তারা আবার আক্রমণের জন্য দৌড়ে আসে। এ ধরনের আচরণ রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত।'

অভিযোগ উঠেছে, মিছিলের শুরুতে ২০-২৫টি মোটরসাইকেলে ছাত্রলীগের ৫০-৬০ নেতাকর্মী সেখানে জড়ো হন। মিছিল থেকে যেন সরকারবিরোধী স্লোগান না দেওয়া হয় এবং ছাত্রদল ও শিবিরের কর্মীরা যেন না থাকে, সে বিষয়ে আন্দোলনকারীদের সতর্ক করেন তারা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিছিলে ২ দফা বাধা দেওয়া হয়। উভয়পক্ষের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মিছিলে থাকা কয়েকজনকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যেতেও দেখা যায়।

এ ঘটনায় আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সোভন রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রলীগের মোবাইল তল্লাশি ও অগণতান্ত্রিক আচরণের তীব্র নিন্দা জানানো হয়।

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের সঙ্গে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

জাবি সহকারী প্রক্টর রনি হোসাইন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মশাল মিছিলের শুরু থেকেই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছিলাম। হট্টগোল সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। এ ছাড়া, উভয়পক্ষকে সহনশীলতার পরিচয় দেওয়ার অনুরোধ জানাই।'

Comments

The Daily Star  | English

IMF agrees to lend $1.15 billion to Bangladesh in third tranche

The International Monetary Fund (IMF) has agreed to provide $1.15 billion to Bangladesh in the third instalment under its multi-billion-dollar loan programme.

14m ago