'প্রশ্ন হচ্ছে, কাদের ধৈর্য বেশি এবং তারাই ফল পাবে'

২৪, ১৫, ১৬, ২৬, ২৫ ও ১৫। তালিকাটা মুমিনুল হক ছাড়া বাংলাদেশের টপ অর্ডার ও মিডল অর্ডার ব্যাটারদের তোলা রানের। প্রত্যেকেই খেলেছেন ৩০টিরও বেশি (লিটন দাস ২৬ বল) বল। কিন্তু ইনিংস লম্বা করতে পারলেন না কেউই। তাতে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়েও হয়নি। টেস্ট ক্রিকেট যে ধৈর্যের খেলা তা ভুলেই গিয়েছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা।

তবে এই ধৈর্যের ব্যাপারটা বাংলাদেশি ব্যাটাররা ভুলে গেলেও ভোলেননি ভারতীয় বোলাররা। তাই ব্যাটাররা সেট হয়ে গেলেও বল করে গিয়েছেন নির্দিষ্ট জায়গায়। তার ফল পেতে খুব বেশিও দেরি হয়নি তাদের। একটা দুইটা ভালো শট খেললেও ঠিকই বাজে শট উপহার দিয়ে আউট হয়ে গিয়েছেন সাকিব-লিটনরা। ফলাফল হাতেনাতে পেয়ে দিনশেষে তাই এগিয়ে ভারতই।

ব্যাটারদের আউট দেখে একসময় মনে হয়েছিল ভারতীয়দের কাজটা যেন সহজ করে টাইগাররা। বিশেষ করে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান লাঞ্চ শেষে প্রথম বলেই যেভাবে শট খেললেন। কিংবা লিটন দাসের ওই ফ্লিক। তবে এ সবকিছু ওই ধৈর্য নিজেরা ধরাতেই হয়েছে বলে জানান ভারতের পেসার উমেশ যাদব।

বাংলাদেশের ব্যাটিংআপ তুলনামূলক চিত্রে তাদের জন্য সহজ কি-না প্রশ্নে এ পেসার বলেছেন, 'কোনো ব্যাটিং লাইনআপই সহজ নয়। আমার মনে হয় না টেস্ট ক্রিকেট এমন। আপনাকে পিষে যেতে হবে। এটা ধৈর্যের খেলা। আপনি আসবেন এবং হিট করবেন এভাবে সেঞ্চুরি করতে পারবেন না। প্রশ্নটা হচ্ছে কাদের ধৈর্য বেশি এবং তারাই ফল পাবে।'

তবে অতিরিক্ত শট খেলতে গিয়ে যে টাইগাররা আউট হয়েছে তা অস্বীকার করেননি উমেশ, 'বাংলাদেশের ব্যাটাররা ভালো সূচনা পেয়েছে কিন্তু এই ধরণের উইকেটে ধৈর্য ধরে খেলতে হয়। আমার মনে হয় তারা অনেক বেশি শটস খেলেছে। তারা ইতিবাচক খেলার চেষ্টা করেছে কারণ এটাই তাদের ব্যাটিং স্টাইল। আমরা শুধুমাত্র সঠিক লাইনে বল করে গিয়েছি।'

যেভাবে দিনের শুরুটা করেছিল বাংলাদেশ, তাতে প্রত্যাশা ছিল আরও ভালো কিছুর। জুটিগুলো ৩০/৪০ রান পার হতেই ভেঙেছে। তবে আরও একটু যদি সচেতন হতে পারতেন টাইগার ব্যাটাররা তাহলে হয়তো অনায়াসেই ৩০০ পার হতো। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে দুইশর কাছাকাছি রানে আটকে দেওয়াকে দারুণ পারফরম্যান্স বলে মনে করেন এ পেসার।

'তাদের ২২১ রানে আঁতকে দেওয়া ভালো পারফরম্যান্স। এই মুহূর্তে উইকেট কেমন হয়েছে তা দেখছি, বল টার্ন করছে এবং কিছু বল লাফিয়ে উঠছে। যখন তারা স্থির ছিল এবং মুমিনুল যেভাবে খেলে সেভাবে খেলবে, ওভারে ৩ রানের বেশি পেলে, এটা কঠিন। তাই আমি মনে করি তাদের ৩০০ এর কম রান দেওয়া একটি ভালো পারফরম্যান্স,' বলেন উমেশ।

মূলত ধৈর্যের পরীক্ষায় জিতেই ভারত ভালো অবস্থানে রয়েছে বলে মনে করেন তিনি, 'এটা ফিফটি-ফিফটি উইকেট ছিল। এটা না পেসারদের না স্পিনারদের জন্য সহায়ক ছিল। কিছু বলে কিছু হচ্ছিল আবার কিছুতে না। আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে। একটা ভুল বলে আপনাকে পিছিয়ে দিতে পারে। বোলিংয়ে এটা সুইং করতে নাও পারে আবার করতেও পারে। এখানে কোনো গতি নেই। অশ্বিনও নতুন বলে বোলিং করেছে এবং কিছু নতুন বল বাঁক নিয়েছে। আবার বল সফট হওয়ার পর এতোটা নেয়নি। এটা মাঝেমধ্যে হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Govt relieves Kuet VC, Pro-VC of duties to resolve crisis

A search committee will soon be formed to appoint new candidates to the two posts

1h ago