পান গাছ কাটার প্রতিবাদ করায় খাসিয়া যুবককে কুপিয়ে জখম

আহত লাকমন নিয়ালাং বর্তমানে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। ছবি: মিন্টু দেশোয়ারা/স্টার

পান গাছ কাটার প্রতিবাদ করায় এক খাসিয়া যুবককে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার নুনছড়া পানপুঞ্জিতে এ ঘটনা ঘটে। 

আহত লাকমন নিয়ালাং বর্তমানে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, লাকমন নিয়ালাং আজ সকালে নিজের পানজুমে যাচ্ছিলেন। সে সময় তিনি দেখেন নলডরি এলাকার বাসিন্দা আব্দুল করিম আরও দুজনকে সঙ্গে নিয়ে লাকমনের পান গাছ কাটছিলেন। লাকমন এর প্রতিবাদ করায় আব্দুল করিম দা দিয়ে তাকে কোপ দেন এবং আব্দুল করিমের দুই সঙ্গী লাকমনকে কাঠ দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটায়।

পরে স্থানীয়রা এসে লাকমনকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে এবং স্বজনরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

লাকমন নিয়ালাং দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আব্দুল করিম ও তার লোকজন অনেকদিন আগে থেকেই পান গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু আজ আমার সামনে পড়ায়, আমি প্রতিবাদ করছিলাম। উল্টো তারা আমার ওপর হামলা করল।'

নুনছড়া পানপুঞ্জির হেডম্যান ববরিন তংপেয়ার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'টিলা ভূমিতে পান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছে পুঞ্জির পরিবারগুলো। দুর্বৃত্তরা তাদের পান গাছ কেটে ফেলে। এর প্রতিবাদ করলে হামলাও করা হচ্ছে।' 

কুবরাজ আন্তপুঞ্জি উন্নয়ন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফ্লোরা বাবলী তালাং ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার ধারণা জুম দখল করার জন্যই দুর্বৃত্তরা পান গাছগুলো কাটছে, হামলা করছে।'

এ বিষয়ে কুলাউড়া থানার পরিদর্শক রতন কুমার দেবনাথ ডেইলি স্টারকে বলেন,  'হামলার ঘটনার অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সমন্বয়ক ফাদার যোসেফ গমেজ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পুঞ্জিবাসীসহ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ভূমির অধিকার, মানবাধিকার সবকিছু দেখার দায়িত্ব সরকারের। নুনছড়ায় যেভাবে হামলা করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণরূপে মানবাধিকার লঙ্ঘন।'

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

12h ago