বাংলাদেশের সুযোগ হাতছাড়ার সেশন, উড়ছেন পান্ত-শ্রেয়াস

শুক্রবার মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টে দ্বিতীয় সেশনে ছড়ি ঘুরিয়েছে ভারত। এই সেশনে ২৫ ওভার খেলে তারা যোগ করে ফেলেছে ১৪০ রান, হারিয়েছে কেবল ১ উইকেট। ৬১ ওভারে ৪ উইকেটে ২২৬ রান তুলে চা-বিরতিতে গেছে ভারত।  হাতে ৬ উইকেট রেখে বাংলাদেশ থেকে তারা পিছিয়ে স্রেফ ১ রানে।
চার-ছয়ে ভারতকে শক্ত অবস্থায় নিয়ে যাচ্ছেন রিশভ পান্ত। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

লাঞ্চের পর পর বিরাট কোহলিকে ফিরিয়ে দারুণ কিছুর আভাস দিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। পরেও সুযোগ তৈরি করেছিলেন তিনি,  কাজে লাগেনি। শ্রেয়াস আইয়ার ও রিশভ পান্তকে আরও তিন দফা জীবন দেয় বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। সুযোগ কাজে লাগিয়ে আগ্রাসী মেজাজে শতরানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ভারতকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে গেছেন পান্ত-শ্রেয়াস।

শুক্রবার মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টে দ্বিতীয় সেশনে ছড়ি ঘুরিয়েছে ভারত। এই সেশনে ২৫ ওভার খেলেই তারা যোগ করে ফেলেছে ১৪০ রান, হারিয়েছে কেবল ১ উইকেট। ৬১ ওভারে ৪ উইকেটে ২২৬ রান তুলে চা-বিরতিতে গেছে ভারত।  হাতে ৬ উইকেট রেখে বাংলাদেশ থেকে তারা পিছিয়ে স্রেফ ১ রানে।

৮৯ বলে ৬ চার, ৫ ছক্কায় ৮৬ রানে অপরাজিত আছেন পান্ত। একই তালে ছুটছেন শ্রেয়াসও, ৬৮ বলে ৬ চার, ২ ছক্কায় ৫৮ করে ব্যাট করছেন তিনি। পঞ্চম উইকেটে এই দুজন ১৪১ বলে যোগ করে ফেলেছেন ১৩২ রান।

সেশনের শুরুতেই কোহলির উইকেট পেয়ে যায় বাংলাদেশ। তাসকিনের লেংথ বল হালকা বেরিয়ে যাচ্ছিল। ভারতের সেরা ব্যাটার খোঁচা দিয়ে ধরা দেন কিপার নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসে। ৭৩ বলে ২৪ করে থামেন কোহলি।

এই চাপটা ধরে রাখতে পারত বাংলাদেশ। তাসকিনের বলেই ১৯ রানে ফিরতে পারতেন শ্রেয়াস আইয়ার। অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল তাড়া করে গালিতে ক্যাচ দিয়েছিলেন তিনি। মেহেদী হাসান মিরাজ লাফিয়ে হাত লাগালেও বল জমাতে পারেননি। উল্টো নাকে ব্যথা পেয়ে বাইরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয় তাকে।

খানিক পর শ্রেয়াসকে সহজ জীবন দেন কিপার সোহান। সাকিব আল হাসানের বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন ২১ রানে থাকা শ্রেয়াস। বল ধরতে না পেরে সহজ স্টাম্পিং মিস করেন সোহান। জীবন পেয়েই সাকিবকে দারুণ দুই চার মারেন ভারতের মিডল অর্ডার ব্যাটার। 

আরেক পাশে পান্ত খেলছিলেন তার মত করেই। ৪৮ বলে তাইজুল ইসলামকে ছক্কায় উড়িয়ে স্পর্শ করেন ফিফটি। ফিফটির পরও দ্রুত রান বাড়াতে দেখা যায় তাকে, বারবার ক্রিজে ছেড়ে বেরিয়ে উড়াতে থাকেন বল।  মিরাজের বলে ৫৯ রানে অবশ্য দিয়েছিলেন সুযোগ। লং অন বাউন্ডারিতে তার কঠিন ক্যাচ হাত লাগিয়েও ভারসাম্য রাখতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। উল্টো হয়ে যায় ছক্কা।

পান্ত ক্রমেই হয়ে উঠেন বিধ্বংসী। একের পর এক বড় শটে এলোমেলো করে দিতে থাকেন বাংলাদেশের বোলিং। শ্রেয়াসও জমে থাকেননি, দ্রুত রান আসতে থাকে তার ব্যাটেও। ৬০ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি।  আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট চালিয়ে বাংলাদেশকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছেন এই দুজন। শেষ সেশনে খেলায় ফিরতে হলে দ্রুত উইকেট ফেলতে হবে স্বাগতিকদের। 

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh Bank dissolves National Bank board

Bangladesh Bank again dissolves National Bank board

The bank’s sponsor director Khalilur Rahman made the new chairman

2h ago