এ মুহূর্তে আমরাই এগিয়ে, তারা চাপে আছে:  লিটন

ভারতের ৪ উইকেট ফেলে এখন ঐতিহাসিক জয়ের স্বপ্ন বিভোর বাংলাদেশ। দিনের খেলা লিটন দাস জানান, এই মুহূর্তে ম্যাচের লাগাম তাদের হাতেই।
Mehedi hasan Miraz & Litton Das
উইকেট পাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে লিটন দাসের তুমুল উদযাপন। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

এই ম্যাচটা এমন পরিস্থিতিতে আসবে তা কে ভেবেছিল? তৃতীয় দিনের প্রথম দুই সেশন শেষে বড় হারই শঙ্কায় ছিল বাংলাদেশের। এমনকি খেলা চতুর্থ দিনে যাবে কিনা এই আলাপও করছিলেন কেউ কেউ। তবে শেষ বিকেলের রোমাঞ্চ বদলে দেয় সব ছবি। ভারতের ৪ উইকেট ফেলে এখন ঐতিহাসিক জয়ের স্বপ্ন বিভোর বাংলাদেশ। দিনের খেলা লিটন দাস জানান, এই মুহূর্তে ম্যাচের লাগাম তাদের হাতেই।

৮৭ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসেও খুব বেশি সাবলীল ছিল না বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে ৪ উইকেট হারিয়ে চরম ব্যাকফুটে চলে যায় সাকিব আল হাসানের দল। দ্বিতীয় সেশনে পরে আরও ৩ উইকেট। শেষ দিকে জ্বলে উঠেন লিটন। তাসকিন আহমেদকে নিয়ে ৮ম উইকেটে যোগ করেন মহামূল্যবান ৬০ রান। লিটনের ৭৩ রানের ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশ পায় ১৪৪ রানের লিড।

১৪৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা ভারতকে শুরুতেই নাড়িয়ে দেন সাকিব। উইকেট নেওয়ায় যোগ দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৩৭ রানের মধ্যে লোকেশ রাহুল, শুভমান গিল, চেতশ্বর পূজারা ও বিরাট কোহলি উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা।

রোববার চতুর্থ দিনে ম্যাচ জিততে ভারতকে করতে হবে আরও ১০০ রান, বাংলাদেশকে নিতে হবে ৬ উইকেট। এই পরিস্থিতি নিজেদের এগিয়ে রাখছেন লিটন,  'অবশ্যই, এ মুহূর্তে আমরাই এগিয়ে। তারা চাপে আছে। আমরা ভালো পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামলে তারা ভেঙে পড়বে। এটাই আমাদের লক্ষ্য। আমাদের জিততে হবে। পরিকল্পনা এটুকুই। তাদের বরং অন্য পরিকল্পনা থাকতে পারে।' 

মিরপুরের উইকেট বরাবরই স্পিনারদের পক্ষে কথা বলে। টেস্ট ম্যাচের শেষ ইনিংসে স্পিনারদের জন্য উইকেট হয়ে পড়ে স্বর্গ। এই পরিস্থিতিতে এখনো ১০০ রানের পুঁজি থাকায় জেতার ব্যাপারে লিটন শতভাগ আশাবাদী। তার কথা উইকেট নিতে হবে দ্রুত,  'অবশ্যই জেতা সম্ভব। সকাল সকাল যদি এক-দুইটা উইকেট নিতে পারি, অবশ্যই জেতা সম্ভব। এরপর রিশভ আছে, আইয়ার আছে। অবশ্যই তারা ভালো খেলোয়াড়, তবে চাপে থাকবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Bangladeshi students terrified over attack on foreigners in Kyrgyzstan

Mobs attacked medical students, including Bangladeshis and Indians, in Kyrgyzstani capital Bishkek on Friday and now they are staying indoors fearing further attacks

4h ago