‘জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে রাস্তায় নামা শুরু করেছে’

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, জনগণের মধ্যে আজ রব উঠেছে যে, আর এই স্বৈরাচার টিকতে পারবে না।

আজ সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, 'এই স্বৈরাচারের দিন শেষ, বেগম খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের আগামী দিনের বাংলাদেশ।'

সরকারকে বিদায় করতে সব পেশাজীবীদের রাস্তায় নামার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'সেই লক্ষ্যে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব আজ রাস্তায় নেমে মানববন্ধন করছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশসহ সব পেশাজীবী-বুদ্ধিজীবী এবং আপামর জনগণ, যারা গণতন্ত্রের বিশ্বাস করে দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী শক্তি, সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাব, এই সরকারের হাত থেকে জনগণকে রক্ষা করবো।'

দেশের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, 'তাদের অপশাসনে এ দেশের জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। তারা রাস্তায় নামা শুরু করেছে। আমাদের বিগত দিনের গণসমাবেশগুলো তার প্রমাণ, গত ২৪ ডিসেম্বর বিভাগে-বিভাগে, জেলায়-জেলায় গণমিছিলগুলো তার প্রমাণ।'

খন্দকার মোশাররফ বলেন, 'আমরা বিশ্বাস করি, সময় বেশি নেই। এ দেশের জনগণ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করে এ দেশে পূর্ণ গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে, যাতে মানুষ নিজের হাতে ভোট দিয়ে তাদের নিজের প্রতিনিধি দিয়ে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারে।'

ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাবের উদ্যোগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এই মানববন্ধন হয়।

ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মেহেদি হাসানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার, অধ্যাপক মোসাদ্দেক হোসেন ডাম্বেল, অধ্যাপক এম এ সেলিম, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. সিদ্দিকুর রহমান, ডা. সাঈদ মাহবুব উল কাদির, শেখ ফরহাদ, আনোয়ার হোসেন মুকুল এবং যুবদলের গোলাম মওলা শাহিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh trade deficit July-August FY25

Trade deficit narrows 2.6% in July-April

The country’s trade deficit narrowed by 2.60 percent in the first ten months of the current fiscal year compared to the same period a year ago, thanks to a rise in export earnings coupled with subdued imports..During the July-April period of fiscal year (FY) 2024-25, the trade gap was $18.

5h ago