এখনো চাপে বৈদেশিক মুদ্রার বাজার

'জানুয়ারিতে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কোনো অস্থিরতা থাকবে না', গত কয়েক মাসে সরকারের কাছ থেকে এমন বার্তাই পাওয়া যাচ্ছিল। কিন্তু জানুয়ারিতে এসেও একই পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। এখনো চাপেই আছে বৈদেশিক মুদ্রার বাজার।

নভেম্বর ও ডিসেম্বরে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলো থেকে আমদানির জন্য এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নকে ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ ৩২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসবে।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক প্রথমবারের মতো প্রতি ডলার ১০০ টাকায় বিক্রি করেছে।

এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চলমান পরিস্থিতির উন্নতির কোনো লক্ষণ নেই এবং নীতিনির্ধারকদের মধ্যেও এ নিয়ে তেমন কোনো গুরুত্ব নেই।'

রিজার্ভ কমা রোধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

'সুদের হারের ঊর্ধ্বসীমা এবং বিনিময় হার প্রতিরোধ অব্যাহত রয়েছে', বলেন জাহিদ হোসেন।

এই ২ বিষয়ে উদ্যোগ নিলে তা বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে পরিবর্তন আনতে পারত। কারণ এর মাধ্যমে ডলারের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমদানিতে কিছুটা হলেও লাগাম দেওয়া হয়েছে, রপ্তানির প্রবণতা ভালো, কিন্তু রেমিট্যান্স প্রবাহ আশানুরূপ নয়। সুতরাং বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কোনো দৃশ্যমান প্রভাব দেখা যায়নি।'

জুলাইয়ে আমদানির পরিমাণ ছিল ৫৯০ কোটি ডলার, যা আগস্টে বেড়ে ৬৮০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে আমদানি কিছুটা কমেছে। নভেম্বরে আবার তা ৭০০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে, যা গত বছরের তুলনায় ৪ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি।

২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথমার্ধ্বে রেমিট্যান্স ১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ১০ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

সংক্ষেপিত: ইংরেজিতে পুরো প্রতিবেদনটি পড়তে ক্লিক করুন Forex market continues to stay under pressure

Comments

The Daily Star  | English

Effective tariff for RMG exports to US climbs to 36.5%: BGMEA

The tariff will be a bit less if 20% of the cotton used in garment production is sourced from the USA

2h ago