অগ্নিকাণ্ডে সবাইকে হারিয়ে খোকন নিজেও মৃত্যু পথযাত্রী

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে মারা গেছেন খোকন বসাকের বাবা-মা, স্ত্রী ও ২ সন্তান। চিকিৎসক জানিয়েছেন, খোকনের শারীরিক অবস্থাও সংকটাপন্ন।
অগ্নিকাণ্ড
আজ শুক্রবার ভোররাতে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ৫ নম্বর ইউনিয়নের মহাজনপাড়া গ্রামের একটি টিনশেড সেমিপাকা ঘরে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু হয়। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে মারা গেছেন খোকন বসাকের বাবা-মা, স্ত্রী ও ২ সন্তান। চিকিৎসক জানিয়েছেন, খোকনের শারীরিক অবস্থাও সংকটাপন্ন।

আজ শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সহকারী অধ্যাপক ডা. এস খালেদ চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, তার শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।'

খোকনের প্রতিবেশী সাজু বসাক জানান, ভোররাত আনুমানিক ২টায় রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। সে সময় সবাই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। রান্নাঘর থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খোকন সামনের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন, বাকিরা ছিলেন ভেতরের ঘরে। বের হওয়ার একটাই পথ। আগুন যখন ছড়িয়ে পড়ছিল, তখন খোকন কোনো রকমে বাইরে বের হতে পারলেও বাকিরা আটকা পড়েন।

আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানালার গ্রিল কেটে খোকনের বাবা কাঙ্গাল বসাক (৭০), মা ললিতা বসাক (৬০), স্ত্রী লাকি বসাক (৩২), ছেলে সৌরভ বসাক (১২) ও মেয়ে চয়নিকা বসাকের (৪) মরদেহ বের করেন, জানান সাজু।

তিনি আরও জানান, 'পরিবারের সদস্যদের পরিণতির কথা এখনো জানেন না খোকন।'

খোকন পেশায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক। তার আয়েই চলতো ৬ সদস্যের পরিবার। রাতে অটোরিকশাটি রান্নাঘরের পাশে উঠানে রেখে ঘুমাতে গিয়েছিলেন খোকন। আগুনে তার অটোরিকশাও পুড়ে গেছে।

ডা. এস খালেদ চৌধুরী বলেন, 'খোকনের শরীরের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তবে সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো তার শ্বাসনালী মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যখন আগুনের তাপে শ্বাসনালী পুড়ে যায় বা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন থাকে। আমরা চেষ্টা করছি তাকে সুস্থ করে তুলতে।'

Comments

The Daily Star  | English

Section 144 imposed in Khagrachhari Sadar, Rangamati municipality

Attacks on indigenous communities in Rangamati follow yesterday's violence in Khagrachhari

32m ago