দু’দিন তাপ বাড়লেও এ সপ্তাহেই মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ
দেশের দুটি বিভাগ ও ১১টি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। পূর্বাভাস বলছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে এবং অনেক জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে চলে আসতে পারে।
তবে আগামী সোমবার ও মঙ্গলবার আবারও তাপমাত্রা কমে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, মৌলভীবাজার, কুমিল্লা, ফেনী, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, কুষ্টিয়া, বরিশাল ও ভোলা জেলা এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর গতকাল শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের অধিকাংশ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে। তাদের ভাষ্য, হিমাচল ও উত্তরাখণ্ড প্রদেশের বেশির ভাগ জায়গায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। বিচ্ছিন্নভাবে হালকা বৃষ্টি হয়েছে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডিগড় ও দিল্লি এবং পশ্চিম উত্তর প্রদেশে। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডিগড় ও দিল্লি, উত্তর প্রদেশ ও বিহার, রাজস্থান ও পূর্ব মধ্য প্রদেশের কিছু অংশ এবং পশ্চিম মধ্য প্রদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় গুজরাটের নালিয়ায় (সৌরাষ্ট্র ও কুচ)।
পূর্বাভাস জানাচ্ছে, আগামী ১৬ জানুয়ারি ভারতের উত্তর-পশ্চিম ভারতের তাপমাত্রা ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যেতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আজ থেকে ১৭ জানুয়ারির মধ্যে উত্তর রাজস্থানের কিছু জায়গায় শৈত্যপ্রবাহ বা তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। কর্নাটকায় ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত, হিমাচলে ১৭ জানুয়ারি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও চণ্ডিগড়ে ১৮ জানুয়ারি, উত্তর ও মধ্য প্রদেশে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত শৈত্যপ্রবাহ স্থায়ী হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভারত থেকে পশ্চিমা মেঘের প্রভাবে আজ শনিবার এবং আগামীকাল রোববার তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ১৬-১৭ জানুয়ারি ভারতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। তার প্রভাবে আমাদের এখানেও তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।'
'এই সময় বিক্ষিপ্তভাবে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টিপাতের ক্ষীণ সম্ভাবনা রয়েছে। বাতাসে আদ্রতা বেশি থাকলে ঢাকাতেও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। ইতোমধ্যে দেশের কিছু জায়গায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই সময় তাপমাত্রা আরও কমে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে,' বলেন তিনি।
Comments