এআইআইবিকে আরও সহজ শর্তে ঋণদানের আহ্বান অর্থমন্ত্রীর
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংককে (এআইআইবি) আরও বাজেট সহায়তা ও সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার এআইআইবি'র বিনিয়োগ অপারেশন অঞ্চল-১ দক্ষিণ এশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. উর্জিত প্যাটেলের সঙ্গে বৈঠকে এ আহ্বান জানান।
রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সন্ধ্যায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
কোভিড-১৯ মহামারি থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য বাংলাদেশকে এক দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তার জন্য এআইআইবিকে ধন্যবাদ জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'বিশ্ব এখন একটি সংকটকাল অতিক্রম করছে এবং আমাদের অর্থনীতিও এর ব্যতিক্রম নয়। আমাদের আরও বাজেট সমর্থন প্রয়োজন।'
তিনি সিকিউরড ওভারনাইট ফাইন্যান্সিং রেট (এসওএফআর) হারের বর্তমান অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বিবেচনা করে এআইআইবিকে ঋণের শর্তাবলী পুনর্বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করেন। পাশাপাশি একটি ক্যাপ চালু করা, স্প্রেড পুনর্নির্ধারণ করা এবং ম্যাচুউরিটির সময়কাল বাড়ানো এবং বিশ্বব্যাংককে অনুসরণ করে প্রতিশ্রুতি ফি মওকুফ করার বিষয়ে অনুরোধ জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, 'এআইআইবি গ্রিন ক্লাইমেট ফাইন্যান্স এবং এসডিজির লিঙ্কড বন্ডের ওপর গুরুত্ব দিতে পারে। বিশ্বব্যাংক এসডিজি লিঙ্কড প্রথম বন্ড উত্থাপন করেছে, যা এআইআইবি দ্বারা অনুসরণ করা যেতে পারে।'
অর্থমন্ত্রী ড. উর্জিত প্যাটেলকে বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে স্বাগত জানান এবং বাংলাদেশের ধারাবাহিক অগ্রগতি উল্লেখ করে বলেন, 'স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে আমাদের জিডিপি ছিল মাত্র ৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০০৯ সালে ১০০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করতে আমাদের সময় লাগে প্রায় ৩৮ বছর। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। আমাদের জিডিপি এখন ৪৬৫ বিলিয়ন ডলার। যেখানে গত বছর ৩৯৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে আমরা ছিলাম ৪১তম বৃহত্তম অর্থনীতি। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হলো ২০৩১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট উন্নত দেশে পরিণত হওয়া। এই ক্ষেত্রে, আমাদের উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক সম্পদের পর্যাপ্ত সংকুলান নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বরাবরের মতো আমরা বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা কামনা করি।'
এ সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Comments