নির্বাচন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে উপনির্বাচন: সরে দাঁড়ালেন জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি মৃধা

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের ৩ নেতার পর এবার জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা নির্বাচন থেকে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ালেন।
ছবি: স্টার

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের ৩ নেতার পর এবার জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা নির্বাচন থেকে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ালেন।

আজ বুধবার দুপুরে গণমাধ্যমে লিখিত বিবৃতি পাঠিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জিয়াউল হক মৃধা।

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আহ্বায়ক জিয়াউল হক মৃধা এই আসনে জাতীয় পার্টি থেকে ২ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি গত ৫ জানুয়ারি সরাইল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এরপর গত ১৬ জানুয়ারি তিনি সিংহ প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছিলেন। কিন্তু এটি একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতীক হওয়ায় পরদিন সিংহ প্রতীক পরিবর্তন করে তাকে ডালিম প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমি দীর্ঘদিন যাবত পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের দল জাতীয় পার্টি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান পদে থেকে ২ বারের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। বহুমুখী উন্নয়নের ধারায় নিজেকে সম্পৃক্ত রাখার চেষ্টা করেছি। তবে আসন্ন উপ-নির্বাচন পরবর্তী সংসদীয় মেয়াদকাল জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য খুব সংক্ষিপ্ত সময়। আমি সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে উন্নয়নের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে সম্মানিত ভোটারদের সঙ্গে প্রতারণা করতে পারি না। সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিতব্য আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার আসনের সম্মানিত ভোটারগণের ম্যান্ডেট নিয়ে জয়ী হয়ে আমার উন্নয়নের পরিকল্পনা ও আশ্বাস বাস্তবায়ন করতে পারবো বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।  এ প্রেক্ষিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচন থেকে আমি স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ালাম।

বিবৃতি পাওয়ার পর জিয়াউল হক মৃধার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ বিবৃতিতে উল্লেখ করেছি। এর বেশি কিছু বলতে চাই না।'

এদিকে, নির্বাচন থেকে এ পর্যন্ত ৪ প্রার্থী কমে যাওয়ার কারণে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার সঙ্গে এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী আব্দুল হামিদ ভাসানী, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল ও আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু আসিফ আহমেদ।

Comments