ফ্লাইওভারে গাড়ি থামিয়ে তুলে নেওয়ার চেষ্টা, র‍্যাব সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৩

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভারে গাড়ি থামিয়ে র‍্যাব পরিচয়ে ২ জনকে তুলে নেওয়ার চেষ্টার ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন র‍্যাব-১ এর সদস্য।

আজ শনিবার বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, 'একজন র‍্যাব সদস্যসহ ৩ জনকে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম এ ঘটনায় আজ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।'

মামলার একটি কপি দ্য ডেইলি স্টারের হাতে এসেছে। মামলায় র‍্যাব-১ এর সদস্য আল মোমেন (২৬), মো. ফরহাদ হোসেন (২২) ও আরিয়ান আহমেদ জয় (২৩) এবং জালালকে (২৫) আসামি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে র‍্যাবের মিডিয়া পরিচালক ও র‍্যাব-১ এর কমান্ডিং অফিসারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কেউ ফোন ধরেননি।

এর মধ্যে গতকাল রাতে আরিয়ান আহমেদ জয়কে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বাকি ২ জনকে আটক করা হয়েছে।

জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ২টায় ওই পথ দিয়ে যাওয়া একটি বেসরকারি টেলিভিশনের গাড়ি দেখে সেখানে জটলা করে থাকা কিছু মানুষ গাড়িটি থামতে বলে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ওই টেলিভিশন চ্যানেলের সংবাদদাতা এ সময় হ্যান্ডকাফ পরা অবস্থায় শহিদুল ইসলাম ও তার ভাগ্নে রিয়াজকে দেখতে পান।

ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, '৩ জন আমাদের গাড়ি থামিয়ে জানালা দিয়ে পিস্তল ধরে। কারো কারো গায়ে র‍্যাবের কোট ছিল। গাড়ি থেকে বের হওয়ার পর তারা বলে আমরা স্বর্ণ চোরাচালানকারী। আমরা বলি আমাদের চেক করে দেখেন। তখন আমাদের মারধর শুরু করে। বলে, গুলি করে মেরে ফেলব। তারপর হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে দেয়। এ সময় আমরা চিৎকার শুরু করি।'

সেসময় গুলশান ডিপ্লোমেটিক জোনের ডিউটি শেষে সে পথেই মোটরসাইকেলে ফিরছিলেন পুলিশ সদস্য সাকিব। ভুক্তভোগীদের আকুতি শুনে এগিয়ে আসেন তিনি।

পুলিশ সদস্য সাকিব বলেন, 'আমি এগিয়ে গেলে র‍্যাবের কোট পরিহিতরা আইডি কার্ড দেখায়। আইডি কার্ডের মেয়াদ ছিল না। তখন আমার সন্দেহ হয়। পরে আমাকেও তারা গাড়িতে তুলে নিয়ে যেতে চায়। এক পর্যায়ে অস্ত্রধারীরা পালিয়ে যায়। সে সময় আমরা তাদের সঙ্গে থাকা একজনকে ধরে ফেলি।'

রাতে ঘটনাস্থলে আটক ব্যক্তি জয় নিজেকে র‌্যাব সদস্য মোমেনের একজন তথ্যদাতা বলে দাবি করেন। জয় জানান, তিনি টঙ্গীর একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন।

ওসি জানান, 'ভুক্তভোগীদের গাড়িটি ছিল ভাড়া করা। সেই গাড়ির চালক ফরহাদ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে আমরা জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছি। তাকে দুষ্কৃতিকারীরা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি। মামলার অপর আসামিকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Sada Pathor Looting: Admin officials, law enforcers involved

Some government officials  including members of law enforcement agencies were involved in the rampant looting of stones from Bholaganj’s Sada Pathor area, found a probe committee of the Sylhet district administration.

6h ago