১ বছরের চেষ্টায় বাঘের কঙ্কাল প্রস্তুত করল বন বিভাগ

করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ আজাদ কবিরের নেতৃত্বে এ কাজে সহযোগিতা করেছেন বন বিভাগের মাঝি মোস্তাক আহমেদ, কুমির শেডের কেয়ারটেকার নিমাই রাপদান ও মসজিদের ইমাম আবুল হাসান। ছবি: সংগৃহীত

মৃত বাঘের হাড় ও বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গ দিয়ে একটি বাঘের কঙ্কাল প্রস্তুত করেছেন সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ আজাদ কবিরের নেতৃত্বে এক বছরের চেষ্টার ফলে এই কঙ্কালটি তৈরি হয়েছে।

এ কাজে সহযোগিতা করেছেন বন বিভাগের মাঝি মোস্তাক আহমেদ, কুমির শেডের কেয়ারটেকার নিমাই রাপদান ও করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র জামে মসজিদের ইমাম আবুল হাসান।

২০২২ সালের ২৯ জানুয়ারি পূর্ব সুন্দরবন বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলার চর এলাকায় বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যাওয়া বাঘের হাড় ও অন্যান্য অংশ থেকে কঙ্কালটি তৈরি করা হয়েছে।

২০২২ সালের ২৯ জানুয়ারি পূর্ব সুন্দরবন বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলার চর এলাকায় বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যাওয়া বাঘের হাড় ও অন্যান্য অংশ থেকে কঙ্কালটি তৈরি করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, 'বাঘের কঙ্কাল তৈরির সময় আমাদের সঙ্গে কোনো বিশেষজ্ঞ ছিল না। আমি আমার আগ্রহ থেকেই এটি তৈরি করেছি। এর আগে করমজলে একটি কুমিরের কঙ্কাল তৈরি করা হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমরা একটি মৃত বাঘের আকারে কঙ্কাল তৈরি করেছি। বাঘের চামড়াও সংরক্ষণ করা হয়েছে।'

আজাদ কবির আরও বলেন, 'ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বাঘের মরদেহ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপর আমরা কাজ শুরু করি। ত্বক এবং হাড় দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য আমরা ধাপে ধাপে কাজ করেছি। এ কারণে একটু বেশি সময় লেগেছে। আশা করছি, ভবিষ্যতে এই বাঘের চামড়া ও কঙ্কাল করমজল ইন্টারপিটিশন ও ইনফরমেশন সেন্টারে রাখা হবে। এর মাধ্যমে সুন্দরবনে দর্শনার্থীরা আরও আকৃষ্ট হবে।'

Comments