চ্যাটজিপিটির লেখা শনাক্তের টুলও আনলেন উদ্ভাবক

চ্যাটজিপিটির লেখা শনাক্তের টুলও আনলেন  উদ্ভাবক
ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম অল্টম্যান। ছবি: রয়টার্স

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মাধ্যমে লেখা কোনো কিছু শনাক্তের জন্য নতুন একটি সফ্টওয়্যার তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় চ্যাটবট চ্যাটজিটিপির স্রষ্টা ওপেনএআই।

আজ বুধবার সংস্থাটি এক ব্লগ পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে।

চ্যাটজিপিটি এমন একটি ফ্রি অ্যাপ্লিকেশন যেটা নিজের মতো করে কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। তা ছাড়া চ্যাটজিপিটি কোনো নিবন্ধ, প্রবন্ধ, কৌতুক এবং এমনকি কবিতা লিখে দিতে পারে। যেটি গত বছরের নভেম্বর মাসে চালু হওয়ার পর থেকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তবে একই সঙ্গে কপিরাইট এবং চুরির বিষয়েও তৈরি করেছে উদ্বেগ।

ওপেনএআই তাদের ক্লাসিফায়ারকে একই বিষয়ের ওপর মানুষ এবং এআইয়ের লেখা টেক্সটকে আলাদা করতে বলে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছড়ানো ভুল তথ্য এবং একাডেমিক অসততার মতো সমস্যাগুলো মোকাবিলায় এ ধরনের তথ্য সরবরাহকরীদের চিহ্নিত করতে পারে।

তবে ওপেন এআই স্বীকার করেছে, এটির পাবলিক বেটা মোডে ১ হাজারের কম অক্ষরে লিখিত কোনো কিছু শনাক্তের ক্ষেত্রে টুলটি খুব একটা ভালোভাবে কাজ করে না।

ওপেনএআই জানিয়েছে, 'এ ধরনের ত্রুটিপূর্ণ টুল কোনো কাজে আসবে কি না সেটা জানার জন্য আমরা ক্লাসিফায়ারটি সবাইকে ব্যবহারের সুযোগ করে দিচ্ছি।'

'আমরা স্বীকার করছি, এআইলিখিত কোনো কিছু শনাক্তকরণের বিষয়টি এখন শিক্ষকদের জন্যেও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। একইভাবে সমান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- শ্রেণিকক্ষে এআইয়ের তৈরি টেক্সটের গুরুত্ব এবং এর ব্যবহারের জন্য সীমা চিহ্নিত করা।'

যেহেতু গত বছরের নভেম্বর মাসে চ্যাটজিপিটির আত্মপ্রকাশের পর থেকে কয়েক লাখ ব্যবহারকারীর মধ্যে সেটা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সিটিসহ বেশ কয়েকটি শহরের স্কুলের শিক্ষার্থীরা এআইয়ের মাধ্যমে লেখা কোনো কিছু ব্যবহার করে প্রতারণা করতে পারে এই উদ্বেগ থেকে সেখানে এআই চ্যাটবট নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

কোনো টেক্সট এআইয়ের মাধ্যমে লেখা কি না সেটা জানতে শিক্ষকদের সহায়তা করার জন্য জিপিটিজেরক্সসহ এ ধরনের বেশ কিছু থার্ডপার্টি টুল তৈরি করা হয়েছে।      

ওপেন এআই আরও জানিয়েছে, তারা চ্যাটজিপিটির সক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতার বিষয়ে আলোচনার জন্য আরও বেশি করে শিক্ষকদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে এবং তারা এআই লিখিত কোনো কিছু শনাক্তের কাজ চালিয়ে যাবে।

Comments

The Daily Star  | English

Public Service Act: Ordinance out amid Secretariat protests

The government last night issued an ordinance allowing dismissal of public servants for administrative disruptions within 14 days and without departmental proceedings.

7h ago