কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চ্যাটজিপিটি যখন চিন্তার কারণ

ধরুন আপনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে চান বা কোনো বইয়ের ব্যকরণ সংশোধন কিংবা কঠিন লেখাকে সহজ-সংক্ষিপ্ত করতে চান, তাহলে মানুষের মতো স্বাভাবিক যোগাযোগের পাশাপাশি এসব কাজও এখন করে দিতে সক্ষম চ্যাট জিপিটি।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চ্যাটজিপিটি যখন চিন্তার কারণ
ছবি: সংগৃহীত

ধরুন আপনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে চান বা কোনো বইয়ের ব্যকরণ সংশোধন কিংবা কঠিন লেখাকে সহজ-সংক্ষিপ্ত করতে চান, তাহলে মানুষের মতো স্বাভাবিক যোগাযোগের পাশাপাশি এসব কাজও এখন করে দিতে সক্ষম চ্যাটজিপিটি।

চ্যাটজিপিটি হলো একটি সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন। যেটি ব্যবহারকারীর নির্দেশনার ওপর ভিত্তি করে মানুষের মতো কথোপকথন নকল করতে পারে। তবে চ্যাটজিপিটি আগের সাধারণ সব চ্যাটবটগুলো থেকে অনেক বেশি উন্নত এবং বিশদ। 

চ্যাটজিপিটি কী?

সান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ওপেন এআই-এর ইন্টারনেটে সাড়া ফেলে দেওয়া চ্যাটবটটির নাম চ্যাটজিপিটি। এখানে জিপিটি-এর পূর্ণ রূপ জেনারেটিভ প্রি-ট্রেইনড ট্রান্সফরমার।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চ্যাটজিপিটি যখন চিন্তার কারণ
ছবি: সংগৃহীত

উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির চ্যাটবটটি কথোপকথনমূলক উপায়ে আপনার সঙ্গে চ্যাটিং বা যোগাযোগ করতে সক্ষম। এর সম্ভাবনা অত্যন্ত ব্যাপক। আপনি এখানে আপনার সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে অনেক কিছু করতে পারবেন।

আপনি চাইলে এটির সঙ্গে সাধারণ কথোপকথন চালিয়ে যেতে পারবেন, কোনো সমস্যার সমাধান জানতে চাইতে পারবেন, কঠিন কঠিন বৈজ্ঞানিক বিষয়ে জানতে চাইতে পারবেন, মজার কোনো কবিতা লিখতে বলতে পারবেন, আপনার দেওয়া কয়েকটি ধারণা দিয়ে একটি নতুন গল্পও লিখতে পারবেন। এ ছাড়া পাইথনের কোনো কোড ঠিক করা থেকে শুরু করে নির্দিষ্ট কোনো স্টাইলে লেখা, বড় কোনো টেক্সট সংক্ষিপ্ত করা থেকে বিস্তৃত পরিসরে কাজ করতে পারবেন এখানে। 

ওপেন এআই-এর মতে চ্যাটবটটি পর পর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া, এর ভুল স্বীকার করা, ভুল কিছুকে চ্যালেঞ্জ করা এবং অনুপযুক্ত বিভিন্ন ধরনের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতেও সক্ষম।

ইতোমধ্যেই চ্যাটজিপিটি বিশ্বজুড়ে ব্যবহারকারীদের বিস্মিত করেছে। চ্যাটবটটি লঞ্চের এক সপ্তাহেরও কম সময়ে এক মিলিয়ন ব্যবহারকারী অতিক্রম করেছে। যা আরও বেশি বিনিয়োগকারীকে জেনারেটিভ এআই-এর দিকে আকৃষ্ট করছে। 

চলুন আজকের আলোচনা থেকে চ্যাটজিপিটি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক– এটি কীভাবে কাজ করে, এর সুবিধা-অসুবিধা, প্রভাব, ব্যবহার করার প্রক্রিয়াসহ আরও অনেক কিছু।

চ্যাটজিপিটি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ওপেন এআই 

ওপেনএআই একটি গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা। যা একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০১৫ সালে সিলিকন ভ্যালির বিনিয়োগকারী স্যাম অল্টম্যান এবং বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্ক প্রতিষ্ঠা করেন। এ ছাড়া ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট পিটার থিয়েলসহ আরও অনেকের কাছ থেকে এটি তহবিল পেয়েছিল। তবে ইলন মাস্ক ২০১৮ সালে ওপেন এআই-এর বোর্ড ত্যাগ করেছিলেন। 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্মিত আর্ট জেনারেটর ডাল-ই নির্মাণের পেছনেও ছিলো এই প্রতিষ্ঠানটি।

চ্যাটজিপিটি যেভাবে কাজ করে

ওপেনএআই-এর মতে তাদের চ্যাটজিপিটি মডেল রিইনফোর্সমেন্ট লার্নিং ফ্রম হিউম্যান ফিডব্যাক (আরএলএইচএফ) নামে একটি মেশিন লার্নিং কৌশল ব্যবহার করে। সিস্টেমটি বিকাশের সময়, মানব প্রশিক্ষকদের সঙ্গে এটির কথোপকথনের মাধ্যমে এর একটি প্রাথমিক সংস্করণ তৈরি করা হয়েছিল। 

ইলন মাস্ক, যিনি বর্তমানে এখন আর ওপেনএআই বোর্ডের অংশ নয়। একটি টুইটে বলেন, 'সিস্টেমটি টুইটার ডেটা থেকেও শিখেছে। তবে তিনি জানিয়েছেন, 'আপাতত' সেই ডেটায় এর প্রবেশাধিকার বন্ধ রেখেছেন।

জিপিটির মতো চ্যাট বটগুলো একত্রিত অনেকগুলো শব্দকে অর্থপূর্ণ উপায়ে প্রকাশ করতে পারে। এটা করার জন্য এই বটগুলো প্রচুর পরিমাণে ডেটা এবং বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটিং কৌশল ব্যবহার করে।

বটগুলো শুধু একটি বিশাল পরিমাণ শব্দভাণ্ডার এবং তথ্য ব্যবহারেই দক্ষ নয়, পাশাপশি এরা প্রেক্ষাপট অনুসারে শব্দগুলো বুঝতেও সক্ষম। যার মাধ্যমে বটগুলো বেশ ভালোভাবে কথা বলার ধরন অনুকরণ করতে পারে। আর বিপুল এনসাইক্লোপিডিয়ার মতো জ্ঞান একে সহজে কথা চালিয়ে যেতে আরও সহায়তা করে।

চ্যাট জিপিটির মাধ্যমে যা যা করতে পারবেন 

ওপেন এআই প্রতিষ্ঠানটি তার ব্লকবাস্টার চ্যাটজিপিটি প্রকাশের পর থেকেই মানুষ এর সঙ্গে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যাচ্ছে। এমনকি অনেকে এর মাধ্যমে সংবাদ বা ডেটিংয়ের জন্যে সম্ভাব্য বার্তা তৈরির চেষ্টাও করে দেখেছেন। 

শুধু কথোপকথনের বাইরেও এতে আপনি আরও অনেক কিছু করতে পারবেন। ওপেন এআই বটটিতে ব্যাকরণ সংশোধন করার, কঠিন লেখাকে সহজ করে সংক্ষিপ্ত করার, চলচ্চিত্রের শিরোনামকে ইমোজিতে রূপান্তর করার সুবিধাসহ ব্যবহারের জন্য এরকম ৪৯টি বিভিন্ন উপাদান সরবরাহ করে থাকে।

চ্যাট জিপিটির মতো একটি প্রযুক্তি বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ডিজিটাল মার্কেটিং, অনলাইন কনটেন্ট তৈরি, গ্রাহক পরিষেবাগুলোয় প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কাজে কিংবা কোড ডিবাগে সহায়তার ক্ষেত্রেও। যেহেতু এর সম্ভাবনা বিপুল। তাই আপনার সৃজনশীলতার ওপর আসলে নির্ভর করছে আপনি এর মাধ্যমে কী কী করতে পারবেন।

চ্যাটবটের কারণে যে সমস্যাগুলোর সৃষ্টি হয়

তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন পরিষেবায় চ্যাটবট ব্যবহারের প্রচেষ্টা কিছু অদ্ভুত সমস্যার জন্ম দিয়েছে। 

এ নিয়ে কোকো নামের একটি মানসিক স্বাস্থ্য সংস্থা ব্যবহারকারীদের উত্তর দেওয়ার জন্য জিপিটি-৩ ব্যবহার করায় বেশ সমালোচনার মুখে পড়ে। অনলাইন মানসিক স্বাস্থ্য কোম্পানিগুলো চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে ব্যবহারকারীদের উত্তর দেওয়ার বিষয়টি, স্বাস্থ্যসেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়টি নিয়ে নৈতিক উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।

ওপেন এআই প্রতিষ্ঠানটি তাদের ওয়েবসাইটেই স্বীকার করেছে, চ্যাটজিপিটি কখনো কখনো দেখতে যুক্তিসঙ্গত হলেও ভুল বা অর্থহীন উত্তরও লিখে থাকে। প্রতিষ্ঠানটি এও সতর্ক করেছে যে, এটি সমস্যাযুক্ত উত্তর তৈরি এবং পক্ষপাতদুষ্ট আচরণও করতে পারে। 

এ ক্ষেত্রে বিজনেস ইনসাইডারের একজন সাংবাদিক একটি নিবন্ধ লিখতে বলার পর খুব দ্রুত ভুল তথ্যে ভরা একটি নিবন্ধ তৈরি করে দেয়। যা আসলেই উদ্বেগের বিষয়, কারণ হলো ভুল তথ্য, কুতথ্য, গুজব এবং ভুয়া সংবাদের মতো বিষয়গুলোকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। 

এ ছাড়া অসৎ উপায়ে বটটিকে শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যবহারেরও নজির পাওয়া গেছে। দেখা গেছে যে, আশঙ্কাজনক হারে অনেকে বটটিকে তাদের বাড়ির কাজ, পরীক্ষা, প্রবন্ধ, নিবন্ধ ইত্যাদি লেখার কাজে ব্যবহার করছে। যদিও প্রিন্সটনের একজন ছাত্র একটি অ্যাপ তৈরি করেছে যা শনাক্ত করতে পারে কোনো কিছু চ্যাটজিপিটি দিয়ে লেখা হয়েছে কি না। তবুও বিষয়টি বেশ উদ্বেগজনক।

আবার অনেকে এ নিয়েও চিন্তিত যে এটি সাংবাদিকদের চাকরিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে কি না। টাউ সেন্টার ফর ডিজিটাল জার্নালিজমের এমিলি বেল উদ্বিগ্ন যে, পাঠকরা এর মাধ্যমে 'আবোল-তাবোল কথাবার্তায়' প্রলুব্ধ হতে পারে।

অ্যাডা লাভলেস ইনস্টিটিউটের কার্লি কাইন্ডের মতে, চ্যাটজিপিটি এবং অন্যান্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সিস্টেমগুলো বিভিন্ন নৈতিক এবং সামাজিক ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

মিস কাইন্ডের উদ্বেগের সম্ভাব্য সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে যে এআই ভুল তথ্যকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং পরিষেবাগুলোতেও ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, চ্যাটজিপিটি একটি পাসযোগ্য চাকরির আবেদন, স্কুলের প্রবন্ধ কিংবা অনুদানের আবেদন লিখতে পারে।

এ ছাড়া তিনি বলেন, কপিরাইট লঙ্ঘনের বিষয়েও এখানে প্রশ্ন রয়েছে এবং গোপনীয়তার উদ্বেগও রয়েছে। এই সিস্টেমগুলো প্রায়শই ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে সংগ্রহ করা ডেটা অন্তর্ভুক্ত করে থাকে।

তবে তিনি এও বলেন, হয়তো এই সিস্টেমগুলো আকর্ষণীয় এবং এখনো অজানা কোনো সামাজিক সুবিধাও প্রদান করতে পারে।

বিবিসির সঙ্গে চ্যাটজিপিটির কৌতূহলোদ্দীপক সাক্ষাৎকার

বিবিসির সঙ্গে চ্যাটজিপিটির একটি প্রশ্নোত্তর পর্বে চ্যাটবটটি নিজেকে বেশ সতর্ক সাক্ষাৎকারদাতা হিসেবে প্রমাণ করেছে। দেখা যায় যে এটি ইংরেজিতে স্পষ্ট এবং নির্ভুলভাবে নিজেকে প্রকাশ করতে সক্ষম।

যখন একে প্রশ্ন করা হয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কী মানুষের লেখালেখির কাজ নিজের দখলে নেবে? এটি বলে, 'না'। এর যুক্তিতে বটটি বলে 'আমার মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সিস্টেমগুলো পরামর্শ এবং ধারণা প্রদান করে লেখকদের সাহায্য করতে পারে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত একটি চূড়ান্ত ফলাফল তৈরির জন্য এটি মানব লেখকের ওপরই নির্ভর করে।'

এর মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সিস্টেমের সামাজিক প্রভাব কী হবে জানতে চাইলে, বটটি উত্তর দেয়, সে বিষয়ে 'ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন'।

চ্যাটজিপিটি নিয়ে আতঙ্কিত হবেন কী?

চ্যাটজিপিটির বিশদ এবং অধিকাংশ নির্ভুল উত্তর নিয়ে নেটিজেনদের অনেকই আশঙ্কিত, আতঙ্কিত। প্রতিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং রোবটের অগ্রগতির মতোই এবারও ইন্টারনেট রোবটের পুরোপুরি ক্ষমতা দখল নিয়ে বিচলিত। 

ইন্টারনেটে অনেকে মনে করছেন, আইনজীবী, সাংবাদিক, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার এবং এমনকি স্ট্যাক ওভারফ্লো ও গুগলের মতো বিশ্বস্ত সাইটগুলোও চ্যাটজিপিটির কার্যক্ষমতা দ্বারা প্রতিস্থাপিত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

চ্যাটজিপিটির ব্যক্তিগতভাবে কথোপকথনের ভঙ্গি অনেকটা অনলাইনে চ্যাট করার মতো অভিজ্ঞতার জন্ম দেয়। চ্যাটজিপিটির প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষমতা অনেক ব্যবহারকারীর মধ্যে চিন্তার উদ্রেক সৃষ্টি করেছে ঠিকই; কিন্তু চ্যাটজিপিটি শুধু একটি 'লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল টুলস' নামের প্রযুক্তির সবচেয়ে উন্নত একটি সংস্করণ মাত্র। এটি আসলে মানুষের মতো সংবেদনশীলতার সঙ্গে কথা বলে না এবং মানুষের মতো করে সেভাবে চিন্তাও করতে পারে না। 

এর অর্থ হলো, এটি আপনাকে কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যা ব্যাখ্যা করতে পারলেও কিংবা কমান্ডের ওপর ভিত্তি করে একটি কবিতা লিখে দিতে পারলেও বিশেষজ্ঞদের মতে, এর মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এসব ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দখল নিয়ে নেওয়া এখনই সম্ভব না। 

মানুষ যেভাবে ভাষা তৈরি ও ব্যবহার করে এবং লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলগুলো যেভাবে সেটা করে দুটোর মধ্যে বিশাল পার্থক্য রয়েছে।

যেভাবে ব্যবহার করবেন চ্যাটজিপিটি

৩০ নভেম্বর, ২০২২ থেকে চ্যাটজিপিটি সর্বজনীন পরীক্ষার জন্য এখন পর্যন্ত বিনামূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। ওপেন এআই মানুষের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া সংগ্রহের সময়কাল পর্যন্ত এটি বিনামূল্যেই থাকবে। প্রতিষ্ঠানটি মানুষের প্রতিক্রিয়ার ওপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত সংস্করণটিকে আরও উন্নত করবে। 

চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করতে যা করতে হবে-

  • অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন, https://chat.openai.com/auth/login
  • একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।
  • 'ফর পার্সোনাল ইউজ' বা ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য অপশনটি সিলেক্ট করুন।
  • কথোপকথনের জন্য আপনার পছন্দের ফিচার নির্বাচন করুন। কিউঅ্যান্ডএ বা প্রশ্নোত্তর প্রেস করুন। 
  • 'ওপেন ইন প্লে-গ্রাউন্ড'-এ প্রেস করুন। 
  • কিউ বা প্রশ্ন: এর পাশে আপনার প্রশ্নটি লিখুন।
  • সাবমিট বাটন প্রেস করে উত্তর আসার জন্য অপেক্ষা করুন। এটি কয়েক সেকেন্ড সময় নিতে পারে।

পরিশেষে

কিছু সমস্যা থাকা সত্ত্বেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক গবেষণা এখনো বেশ আকর্ষণীয়। সিয়াটেল ট্র্যাকিং ফাইন্যান্সিং কোম্পানি পিচবুকের তথ্য অনুসারে, এআই ডেভেলপমেন্ট এবং অপারেশন কোম্পানিগুলোতে ২০২১ সালে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বিনিয়োগ ছিল প্রায় ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

চ্যাটজিপিটি মানুষের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে শেখে। ওপেন এআই-এর প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান টুইট করেছেন, যারা এই ক্ষেত্রে কাজ করছেন তাদেরও এখনো অনেক কিছু শেখার আছে।

তিনি আরও বলেন, 'কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে এখনো দীর্ঘ পথ যেতে হবে এবং এখানে বড় বড় ধারণাগুলো এখনো আবিষ্কার করা বাকি। আমরা পথে হোঁচট খাব এবং বাস্তবতা থেকে অনেক কিছু শিখব। এটি কখনো অগোছালো হবে। আমরা কখনো সত্যিই খারাপ সিদ্ধান্ত নেব। আবার কখনো অত্যন্ত মূল্যবান অলৌকিক কোনো অগ্রগতিও আসবে।'

 

তথ্যসূত্র: বিবিসি, রয়টার্স, বিজনেস ইনসাইডার, এইচআইটিসি

 

Comments