হিরো আলমের নাম না নিয়ে কাদের বললেন, ‘অহেতুক বিতর্কে যেতে চাই না’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, 'এই নাম নিয়ে অহেতুক আর বিতর্কে আমি যেতে চাই না।'

তিনি আরও বলেন, 'বিএনপি একটা উদ্দেশ্য নিয়ে যা করেছে, সেই উদ্দেশ্যটা সফল হয়নি।'

আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে সমসাময়িক বিষয়ে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায় হলো গণঅভ্যুত্থান, লাল কার্ড। সেখান থেকে তারা কোথায় নামলো? নীরব পদযাত্রা। আন্দোলন শুরু হলো কোথায়, আন্দোলন তো শেষ! শুরু করেছে গরম দিয়ে, এখন এসে এত নরম দিয়ে...গণবিস্ফোরণের ডাক দিয়ে, অভ্যুত্থানের ডাক দিয়ে পদযাত্রা, পথ হারিয়ে পদযাত্রা।'

তিনি বলেন, 'তারা কী বলছে সেটা না, দেশের মানুষ কী ভাবছে সেটা হলো বড় কথা। তারা (জনগণ) তাদের (বিএনপি) আন্দোলনে সম্পৃক্ত হচ্ছে না। তাদের নেতাকর্মীরা আন্দোলন করছে। কাজেই এই আন্দোলনের কোনো ফল নেই। এটা ব্যর্থ হবে, তারা হেরে গেছে।'

'এখন শুধু একই সংগীত গাইতে থাকবে আন্দোলন, আন্দোলন। আবার তলে তলে কোনো দুরভিসন্ধি আছে কি না আন্দোলনের কথা বলে, সেটাও আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি,' বলেন কাদের।

'(বিএনপি) লং মার্চ ডাক দেবে, শর্ট মার্চ হয় কি না সন্দেহ আছে,' বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, 'নিষেধাজ্ঞা আনতে লবিং করেছিল, লাভ হয়নি। ডোনাল্ড লু এসে কথাবার্তা বলবে, উনাদের আশার বাণী শোনাবে, সেটাও হয়নি। তাহলে এখন আর কোন আশায় বসে আছে?'

এ সময় 'অমানুষ' চলচ্চিত্রের একটি গানের লাইন উদ্ধৃত করে কাদের বলেন, 'বেদনার বালুচরে কোন আশায় বাঁধিয়াছি ঘর—ফখরুল সাহেবের এখন এই অবস্থা।'

মানুষ ভোট দেওয়ার আগ্রহ কেন হারিয়ে ফেলছে, এটা গণতন্ত্রের জন্য কতটা সুখকর জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'সত্যি বলছি কি না মিলিয়ে দেখুন, পৃথিবীর সব দেশে উপনির্বাচনে মানুষের আগ্রহ কম থাকে। এটা দিয়ে খুব বেশি লাভ-ক্ষতি কেউ খুঁজে পায় না। তারপরও বাংলাদেশে এই উপনির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসনে কাস্টিং ভোট ৩৮ দশমিক ২৩ শতাংশ, ঠাকুরগাঁও-৩ এ ৪৫ শতাংশ, বগুড়া-৪ এ ২৫ শতাংশ, বগুড়া-৬ এ ২৭ শতাংশ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ এ ৩২ শতাংশ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ এ ৩০ শতাংশ, এর মধ্যে সর্বনিম্ন ভোট পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে ২৩ শতাংশ।'

জাতীয় নির্বাচনে এই ধারাবাহিকতা থাকবে কি না প্রশ্ন করা হলে কাদের বলেন, 'জাতীয় নির্বাচন আর উপনির্বাচন এক কথা হলো! এখানে কতগুলো বিষয় আছে, জাতীয় নির্বাচনে প্রধান প্রধান দলগুলো অংশগ্রহণ না করলে সংবিধান ভেদে তারতম্য হয়। জাতীয় নির্বাচনে যেহেতু সরকার গঠনের বিষয় আছে, সেখানে অবশ্যই পারসেন্টেজ অনেক বেশি হবে।'

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমরা নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক চাই। আমরা চাই না ফাঁকা মাঠে গোল দিতে। এটা হওয়া উচিত না, গণতন্ত্রের জন্যও ভালো না।'

'তারা গতবারও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করেছিল, আবার তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিয়েছিল,' আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন তিনি।

হিরো আলম অভিযোগ করেছেন, সরকার ষড়যন্ত্র করে তাকে হারিয়েছে এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইতে তিনি বলেন, কোন এলাকায় কত ভোট পড়েছে আমি বলেছি। এটাও বলেছি, উপনির্বাচনে মানুষের আগ্রহ কম থাকে। তারপরও গাইবান্ধায় ৩৮ শতাংশ ভোট পড়েছে; কম না। ঠাকুরগাঁওয়ে ৪৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। সেখানে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী ছিল। বগুড়ায় যার কথা বলছেন, এই নাম নিয়ে অহেতুক আর বিতর্কে আমি যেতে চাই না। বিএনপি একটা উদ্দেশ্য নিয়ে যা করেছে, সেই উদ্দেশ্যটা সফল হয়নি।'

Comments

The Daily Star  | English

Students to resist AL event today

The student movement against discrimination will hold a mass gathering at Zero Point in the capital’s Gulistan today, demanding trial of the Awami League.

3h ago