‘কোনো দেশের গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হলে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা সীমিত হয়ে আসে’

ডেরেক শোলেট। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ এবং অন্য যে কোনো দেশের গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হলে ওই দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা সীমিত হয়ে আসে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সেলর ডেরেক শোলেট।

বাংলাদেশ সফরে এসে আজ বুধবার আমেরিকান সেন্টারে দেশের সংবাদপত্রের সম্পাদকদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এ সময় শোলেট বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের সম্ভাবনা অপরিসীম। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশ সফরে আসছেন।'

তিনি বলেন, 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী অংশীদারিত্ব শক্তিশালী গণতন্ত্রের দেশগুলোর সঙ্গে। কোথাও গণতন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়লে, আমাদের সহযোগিতার সুযোগ সীমিত হয়ে যায়।'

'এর মানে এই নয় যে আমরা সহযোগিতা করব না, আমাদের সম্পর্ক অর্থবহ হবে না। কিন্তু ব্যবসায় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এটি সীমিত হওয়ার কারণ হবে,' যোগ করেন তিনি।

এ সফরে মার্কিন কর্মকর্তাদের উচ্চ পর্যায়ের ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডেরেক শোলেট।

মার্কিন প্রশাসনের আন্ডার সেক্রেটারি পদমর্যাদার এই কাউন্সেলর বলেন, 'মার্কিন কোম্পানিগুলো কোনো দেশে বিনিয়োগের সময় স্বচ্ছতা, আইনের শাসন, জবাবদিহিতা চায়।'

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি ঢাকায় পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

শোলেট বলেন, 'বাংলাদেশ এই অঞ্চলে উন্নয়নের সাফল্যের প্রতীক। দশ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ খুব ভালো কাজ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।'

বাংলাদেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি গণতন্ত্র, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, শক্তিশালী সুশীল সমাজের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে কী হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে শোলেট বলেন, তিনি এ নিয়ে অনুমাননির্ভর কিছু বলতে চান না।

তিনি বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি এখানে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে। সরকার বলছে, তারা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায়। মানবাধিকারের ক্ষেত্রে, আগের নির্বাচনের বিষয়ে সুশীল সমাজ যে উদ্বেগের কথা বলেছে, আমরাও গোপনীয়তা ছাড়াই আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।'

তিনি বলেন, 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সামনের মাসগুলোতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করতে থাকবে। তবে নিশ্চিত, আমাদের আস্থা আছে এবং আমরা সরকারের কাছ থেকে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের অঙ্গীকার শুনেছি।'

Comments

The Daily Star  | English

No justifiable reason to delay nat'l polls beyond Dec: Salahuddin

We have been able to make it clear that there is not even a single mentionable reason to hold the election after December, says the BNP leader

50m ago