ইসলামি ব্যাংকগুলোর আমানত ৩ মাসে কমেছে সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা

প্রতীকী ছবি | সংগৃহীত

দেশের ইসলামি ব্যাংকগুলোর আমানত ২০২২ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে কমেছে। গত ৮ বছরের মধ্যে প্রথম এই ধরনের পতন দেখল ব্যাংকগুলো। ঋণ অনিয়মের কারণে এসব ব্যাংকের ওপর গ্রাহকদের মধ্যে আস্থা কমে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বৃহস্পতিবারে প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, দেশের শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকেগুলোর মোট আমানত ২০২২ সালের ডিসেম্বরের শেষে ৪ লাখ ৯ হাজার ৯৪৯ কোটি টাকায় নেমে এসেছে, যা সেপ্টেম্বরের ৪ লাখ ২১ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা আমানত থেকে ২ দশমিক ৭১ শতাংশ কমেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইসলামি ব্যাংকিং সংক্রান্ত অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ৩ মাসে দেশের শরিয়াভিত্তিক ১০টি ব্যাংকের সম্মিলিত আমানত ১১ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা কমেছে।

ডিসেম্বরে এই ব্যাংকগুলোতে মোট আমানত জমা পড়েছে ৩ লাখ ৭৯ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা। এই আমানতের পরিমাণ সেপ্টেম্বরে জমা হওয়া ৩ লাখ ৯১ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা আমানতের ৩ শতাংশ কম।

শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোতে আমানত কমার তথ্য এমন সময়ে প্রকাশিত হলো, যখন দেশের বৃহত্তম বেসরকারি ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডসহ বেশ কয়েকটি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকে ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগের কারণে গ্রাহকরা আমানত উত্তোলন করায় তারল্য ঘাটতিতে পড়েছে।

তারল্য সংকট কাটাতে গত ডিসেম্বরে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে 'লেন্ডার অব দ্য লাস্ট রিসোর্ট' বিরল সুবিধার আওতায় ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদে ঋণ নেয়।

২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সুবিধার আওতায় ইসলামী ব্যাংক ঋণ নিয়েছিল ৮ হাজার কোটি টাকা। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক সম্মিলিভাবে নিয়েছিল ৬ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসলামি ব্যাংকগুলোর আমানত কমে যাওয়ার কারণ ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগ।

গত বছর ৯টি প্রতিষ্ঠানকে ইসলামী ব্যাংক অনিয়ম করে ৭ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে, এমন অভিযোগের তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সংক্ষেপিত: ইংরেজিতে পুরো প্রতিবেদন পড়তে ক্লিক করুন Depositors withdraw Tk 11,426cr from Islamic banks in 3 months

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

1h ago