বরিশাল সিটি করপোরেশন

বকেয়া বিলের জন্য ৪৩ সড়কের বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন, সিটি করপোরেশন বলছে ‘জানে না’

বরিশাল বিদ্যুতের লাইন
বকেয়া বিলের জন্য বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৪৩ সড়কের বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। ছবি: টিটু দাস/স্টার

বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) বিদ্যুত বিল বকেয়া থাকায় বিদুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো)। তবে বিসিসি বলছে আনুষ্ঠানিকভাবে তারা কিছু জানে না। বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করার প্রমাণ নেই।

রোববার রাতে নগরীর ৪৩টি সড়কের বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ওজোপাডিকো পরিচালন ও সংরক্ষণ সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এটিএম তারিকুল ইসলাম।

তিনি জানান, 'গত ১২০ মাসের বকেয়া হিসেবে ৬০ কোটি টাকারও বেশি পাওনা হয়েছে বরিশাল সিটি করপোরেশনের কাছে। তাদের কাছে বারবার দাবি করার পরও গত অক্টোবর থেকে ২ কোটির বেশি পাওনার বিপরীতে মাত্র সাড়ে নয় লাখ টাকা পরিশোধ করে। এর ফলে মন্ত্রণালয়ের সর্বোচ্চ মহল থেকে বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ এলে আমরা রোববার রাতে ৪৩টি সড়কের বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করি, পরবর্তীতে অন্যান্য সড়কের লাইনও বিচ্ছিন্ন করা হবে।'

তিনি বলেন শুধু বরিশাল সিটি করপোরেশন নয়, বরিশাল, ঝালকাঠী ও পিরোজপুর জেলার পৌরসভার কাছেও সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা বকেয়া আছে। তাদের কাছ থেকে বকেয়া পরিশোধের চেষ্টা চলছে।

তারিকুল ইসলাম বলেন, ২০২২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বকেয়া পরিশোধ না করায় বিদ্যুত সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করা হয়, পরে বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসানের মধ্যস্থতায় প্রতিমাসে বিল দেয়াসহ বকেয়া কিছু দেয়ায় প্রতিশ্রতিতে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে পুনরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।

তিনি বলেন, প্রতিমাসে ৩৮ থেকে ৪২ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল এলেও দেয়া হয়েছে সাড়ে নয় লাখ টাকা।

বরিশাল সিটি করপোরেশন সূত্র জানিয়েছে, কোনো রকম নোটিশ ছাড়া তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন কাটতে পারে না। তারা যত টাকা বকেয়া দেখায় তত টাকা বাকি নেই। গত সেপ্টেম্বর মাসে বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে অচলাবস্থার সময়ে তাদের হিসেবে ৫১ কোটি, আমাদের হিসেবে ৪৮ কোটি টাকা বকেয়া ছিল, কিন্ত গত ৫ মাসে ১০ কোটি টাকা কীভাবে বকেয়া হয়ে গেল? আমরা প্রতিমাসেই বিদ্যুৎ বিলের একটি বড় অংশ দিয়ে থাকি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওজোপাডিকোর তরফে বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করা হলেও পরবর্তীতে সে সব সড়কের সড়কবাতি জ্বলতে দেখা গেছে। কে বা কারা সড়কবাতি সংযোগ দিয়েছে এই বিষয়ে কেউ মুখ খুলছে না। তবে বিদ্যুৎ বিভাগের দাবি তারা সরবরাহ লাইন বিচ্ছিন্ন করলেও পরে বিসিসি কর্তৃপক্ষ সরবরাহ লাইন সংযোগ দিয়ে দিয়েছে। আর বিসিসি বলছে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন বিচ্ছিন্নের কোনো প্রমাণ নেই।

এ বিষয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ওমর ফারুক বলেন, 'আমরা অফিশিয়ালি কিছু জানি না, বিদ্যুৎ বিভাগ আমাদেরকে অফিশিয়ালই কিছু জানায়নি। আপনাদের কাছেই এ বিষয়টি শুনলাম। তারা না জানিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করতে পারে না- বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করার কোনো প্রমাণ নেই।'

Comments

The Daily Star  | English

Choking waters: The dangerous decline of oxygen in Dhaka’s peripheral rivers

Bangladesh, often described as a land of rivers, is criss-crossed by more than 230 major and minor waterways.

16h ago