আর্জেন্টাইন ভক্তরাই সেরা সমর্থক
কাতারে এবার ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জিতে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। সমর্থকদের উচ্ছ্বাসটা ছিল তাই বাঁধভাঙ্গা। গৌরবের এ অর্জনে মেসিদের সমর্থন দিয়ে পুরো বিশ্বকাপকে বিমোহিত করে রেখেছিল তারা। আরও একবার বিশ্বকে মাতানোর উপলক্ষ পেল তারা। ফিফা ফ্যান অ্যাওয়ার্ড মিলেছে তাদেরই।
এক আর্জেন্টিনা থেকেই উড়ে এসেছিল ৩৫ হাজারেরও বেশি সমর্থক। এছাড়া সাড়া বিশ্বের নানা প্রান্তের সমর্থকরাও জড়ো হয়েছিলেন লিওনেল মেসিদের সমর্থনে। কাতার যেন তৈরি হয়েছিল আর্জেন্টিনায়। যেন ঘরের মাঠে খেলছিলেন মেসি-দি মারিয়ারা। তাদের সেই পাগলাটে সমর্থনেই মিলল ফিফার সেরা সমর্থকের পুরষ্কার।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই দলে দলে দোহায় জড়ো হতে থাকেন আর্জেন্টিনার সমর্থকরা। যেন পুরো শহরটিকে সাজিয়ে ফেলেন আকাশী নীল এবং সাদা রঙে। মেসিরা যেখানেই খেলেছেন অনুভব করেছেন যেন নিজ বাড়ি। বিশ্বকাপ জিতে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত উত্সাহ দিয়েছিলেন তারা। মুচাচোসের মতো আইকনিক গান গেয়ে ড্রামের তালে তালে মাতিয়ে রাখেন গ্যালারী।
সোমবার রাতে ফ্রান্সের প্যারিসে দ্য বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে ২০২২ সালের বর্ষসেরা ফ্যানের পুরস্কার হাতে তুলে দেওয়া হয় আর্জেন্টাইন সমর্থকদের। পুরস্কার সংগ্রহের জন্য এদিন উপস্থিত হয়েছিলেন কার্লোস পাসকুয়াল। যিনি আর্জেন্টিনায় এল তুলা নামে বেশি পরিচিত, দেশের অন্যতম বিখ্যাত ভক্ত এবং ১৩টি বিশ্বকাপ মাঠে থেকে দেখেছেন। ১৯৭৪ সালে জার্মানিতে প্রথমবার গ্যালারীতে ড্রাম বাজিয়েছিলেন।
'একজন ফুটবল অনুরাগী হিসেবে, এই আর্জেন্টিনা দেখে আমি যে তৃপ্তি পেয়েছি তার আপনি মূল্য দিতে পারবেন না। আমি বলতে পারি যে আমরা যে তিনটি বিশ্বকাপ জিতেছি তার সবকটিতেই আমি সেখানে ছিলাম,' বলেছেন ৮২ বছর বয়সী মধ্য রোজারিওর ফ্যান এল তুলা, যিনি তার বিখ্যাত ড্রাম নিয়ে মঞ্চে আসেন।
'আমি সব জায়গায় ভক্তদের আমার শুভেচ্ছা পাঠাতে চাই। ফুটবল যে আবেগ তৈরি করে তা আশ্চর্যজনক। আমি শুধু একজন আর্জেন্টাইন নয়, হাজার হাজার সমর্থকদের প্রতিনিধিত্ব করছি যারা আমাদের প্রিয় দলকে নিয়ে উল্লাস করতে গিয়েছিল, এবং আরও লক্ষ লক্ষ যারা ঘরে ফিরে আমাদের বিজয় উদযাপন করছিল,' যোগ করেন পাসকুয়াল।
Comments