শরীয়তপুর

পাঠদান বন্ধ করে কলেজ মাঠে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের মাঠে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন ঘিরে পাঠদান বন্ধ করে ছুটি দিয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।
ভেদেরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন মঞ্চ। ছবি: জাহিদ হাসান রনি/ স্টার

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের মাঠে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন ঘিরে পাঠদান বন্ধ করে ছুটি দিয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।

আজ মঙ্গলবার কলেজের মাঠে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়নের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান হাওলাদার দ্য ডেইলি স্টারকে সম্মেলনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিকেলে সম্মেলন শেষে আব্দুল মান্নান ডেইলি স্টারকে বলেন, মঙ্গলবার সকাল হতে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে মাঠে জড়ো হতে থাকেন। সকাল ১১ টার দিকে সম্মেলন উদ্বোধন করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এম জুয়েল আহমেদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক। সম্মেলন চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। কলেজের মাঠে নেতাকর্মীদের খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

কলেজের মাঠে কেন সম্মেলনের ভেন্যু ঠিক করা হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সম্মেলনের জন্য অনুমতি চেয়েছিলাম। কিন্তু ইউএনও আমাদের অনুমতি দেননি। বাধ্য হয়ে কলেজের মাঠে সম্মেলন করতে হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হওয়ায় আমরা দুঃখিত।

শিক্ষার্থীদের পাঠদান কেন বন্ধ রাখা হয়েছে জানতে চাইলে ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, সকাল থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয়। মিছিল-সমাবেশ দেখে শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফিরে যায়। নিরাপত্তার কথা ভেবে শিক্ষার্থীদের চলে যেতে বলা হয়। তাছাড়া সম্মেলনকারীরা আমাদের শ্রেণিকক্ষ ও আসবাবপত্র ব্যাবহার করেছেন। এ কারণে পাঠদান সম্ভব ছিল না।

আজ সকাল ১১টার দিকে কলেজের মাঠে গিয়ে দেখা যায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে মাঠে প্রবেশ করছেন। মঞ্চে ও প্যান্ডেলে বসানো হয় শিক্ষকদের চেয়ার। মাঠের এক পাশে চলছিল রান্নার কাজ। রান্না করা খাবার রাখা হয় শ্রেণিকক্ষে। এ সময় শিক্ষকদের মিলনায়তনে বসে অলস সময় পার করতে দেখা যায়।

Comments