ডিম-মুরগির সরকার নির্ধারিত দাম চান পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা

পোল্ট্রি
ফাইল ফটো

স্থানীয় বাজারে মুরগি ও ডিমের দাম নির্ধারণ করতে সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছে দেশের পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা।

রোববার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে পোল্ট্রি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিআইএ) নেতারা এ দাবি জানান।

বাজারে সম্প্রতি ডিম ও মুরগির দাম অল্প সময়ে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ভোক্তারা যেমন অসুবিধায় পড়েছেন, অন্যদিকে ব্যবসায়ীদেরও লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকারের উচিত উৎপাদন খরচ বিবেচনায় নিয়ে মুরগিপ্রতি ১৫-২০ টাকা এবং প্রতিটি ডিমে ২৫ পয়সা থেকে ৪৫ পয়সা মুনাফা রেখে এগুলোর বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা।

সংবাদ সম্মেলনে বিপিআইএ মহাসচিব খন্দকার মো. মহসিন বলেন, গত ৩১ বছরে পোল্ট্রিখাত এমন অস্থিতিশীল ছিলনা।

তিনি জানান, করোনা মহামারির আগে দেশে ১ লাখ ৫৮ হাজার পোল্ট্রি খামার ছিল। এগুলোর মধ্যে বর্তমানে মাত্র ৯৫ হাজার ৫২৩টি চালু আছে। বাকিগুলো হয় বন্ধ, না হয় ব্যবসা থেমে আছে।

'মহামারির পর হাজার হাজার খামার মালিককে এ খাত ছাড়তে হয়েছে,' যোগ করেন তিনি।

সংগঠনটির সভাপতি শাহ হাবিবুল হক বলেন, 'সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধিতে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী ও ভোক্তা উভয়কেই দুরবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। এ খাতের জন্য এমন একটি সমাধান দরকার যার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সবার উপকার হয়।'

সংবাদ সম্মেলনে বিপিআইএর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নুরুল মোর্শেদ খান জানান, পোল্ট্রি পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ২০১০ সালে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করেছিল। কমিটির একটি কৌশল তৈরি করার কথা ছিল।

তিনি বলেন, 'কমিটিকে একদিনের বাচ্চার দাম নির্ধারণ এবং বাজার মনিটর করে ডিম-মুরগির দাম নির্ধারণে মন্ত্রণালয়কে সহায়তা করার দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল।'

এই কমিটি ডিম-মুরগির দাম স্থিতিশীল রাখতে ব্যর্থ হয়েছে এবং এটি কোনো কাজে আসছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সংগঠনটি এ খাতের জন্য সরকারকে একটি প্রণোদনা প্যাকেজ দিতে এবং খাতের জন্য করমুক্ত সুবিধা ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর সুপারিশ করেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Election in first half of April 2026

In his address to the nation, CA says EC will later provide detailed roadmap

15h ago