মিশরে গ্রেট পিরামিডের ভেতর মিলল গোপন করিডোর

মিশরে গ্রেট পিরামিডের ভেতর মিলল গোপন করিডোর
মিশরের দি গ্রেট পিরামিডের ভেতর গোপনীয় করিডোর। ছবি: সংগৃহীত

মিশরের‌ গ্রেট পিরামিডের ভেতরে এক গোপন করিডোর আবিষ্কৃত হয়েছে।‌ দেশটির পর্যটন প্রত্নতত্ত্ব মন্ত্রণালয়ের 'স্ক্যান পিরামিড' প্রকল্পের গবেষণার মাধ্যমে এটি আবিষ্কৃত হয়।

মিশরীয় পুরাকীর্তি কর্তৃপক্ষ ৪ হাজার ৫০০ বছরেরও পুরোনো খুফু পিরামিডের ভেতর লুকানো এই করিডোর আবিষ্কারের তথ্য  আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছ ৷ 

আন্তর্জাতিক প্রত্নতাত্ত্বিকদের একটি দল খুফুর পিরামিডের প্রবেশদ্বারের ওপরে সিলকরা চেম্বারটি খুঁজে পেতে উচ্চ প্রযুক্তির ইনফ্রারেড থার্মোগ্রাফি, থ্রি-ডি সিমুলেশন এবং কসমিক-রি ইমেজিং সরঞ্জাম ব্যবহার করেছেন। এরকম আরও চেম্বার আবিষ্কারের আশা করছেন তারা।

মিশরের প্রত্নতাত্ত্বিক জাহি হাওয়াস ও পর্যটনমন্ত্রী আহমেদ ইসা চেম্বার আবিষ্কারের এই ঘোষণা দেন৷ আবিষ্কারের কৃতিত্ব দেওয়া হয়েছে স্ক্যানপিরামিডস প্রকল্পের বিজ্ঞানীদের৷

মিশরের দি গ্রেট পিরামিডের ভেতর গোপনীয় করিডোর।
মিশরের দি গ্রেট পিরামিডের ভেতর গোপনীয় করিডোর। ছবি: সংগৃহীত

বিজ্ঞানীরা বলছেন, ৩০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৬ফুট  প্রশস্ত চেম্বারটিতে বাইরে থেকে প্রবেশ করা যায় না৷ ছোট ছিদ্র তৈরি করে ভেতরের ছবি ধারন করে সেখানে কি আছে তা তারা বোঝার চেষ্টা করছেন। কেন এই চেম্বার তৈরি করা হয়েছিল সেটা সম্পর্কে তারা কোনো ধারণা করতে পারছেন না৷

চেম্বারটির শেষে রয়েছে দুটি বড় চুনাপাথর৷ এখন প্রশ্ন হলো, সেই পাথরগুলোর পেছনে এবং চেম্বারের নিচে কী রয়েছে, জানিয়েছেন স্ক্যানপিরামিডস প্রকল্পের নেতৃস্থানীয় সদস্য ক্রিস্টোফ গ্রোস৷ মিউনিখের টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির এই বিশেষজ্ঞ অনেক লুকায়িত তথ্য আবিষ্কার করার আশা প্রকাশ করেছেন।

এই অনুসন্ধান করা হয়েছে পিরামিডের কোনো ক্ষতি না করেই। মহাকাশ থেকে কিছু কসমিক পার্টিকল নিক্ষেপ করা হয়েছে পিরামিড লক্ষ্য করে। ওই পার্টিকলগুলো পিরামিডের পাথর ভেদ করে তার গভীর পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। তাতেই গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হয়। ১৯ শতকে গিজার পিরামিড আবিষ্কৃত হওয়ার পর এটাই পিরামিড নিয়ে সবচেয়ে বড় আবিষ্কার বলা যেতে পারে। প্রাচীন কালের সপ্তম আশ্চর্যের মধ্যে একমাত্র গিজার এই পিরামিডই দাঁড়িয়ে রয়েছে এখনো।

ফারাও‌ কুফু, যিনি খ্রিষ্টপূর্ব ২৪৮৩ সাল থেকে ২৫০৯ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেছিলেন মিশরে। তার নামে নামকরণ করা হয় খুফু পিরামিড৷

লেখক: মিশরপ্রবাসী সাংবাদিক
 

Comments

The Daily Star  | English
narcotics cases pending despite deadline

4.8 lakh narcotics cases pending despite deadline

Judge shortage, lack of witnesses, inadequate court infrastructure blamed for delays

7h ago