‘সরকারের দায়িত্বহীনতা দেশকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে’

গুলিস্তানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। ছবি: সংগৃহীত

গুলিস্তানের একটি ভবনে বিস্ফোরণের ২০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার অভিযান নিয়ে সরকারের সংস্থাগুলোর মধ্যে যে সমন্বয়হীনতা, তা সরকারের দায়িত্বহীনতার একটি উদাহরণ মাত্র। সারা দেশে কোথাও নিরাপদ বসবাসের কোনো পরিবেশ নেই। এখানে কাঠামোগত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে।

এই মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। আজ বুধবার গুলিস্তানের বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

জোনায়েদ সাকি বলেন, 'নর্থ সাউথ রোড যে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল, এখানে উদ্ধার কাজ সম্পন্ন করা দরকার। কিন্তু সরকারের ইঞ্জিনিয়ারিং যে বিভাগগুলো রয়েছে, যাদের দায়িত্ব ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করা। কিন্তু তারা এখনো সমন্বয় করতে পারেননি, যেটা একটা ব্যর্থতা, যা সরকারের সামগ্রিক ব্যর্থতারই অংশ।'

তিনি আরও বলেন, 'এমন একটা জরুরি পরিস্থিতি সরকারের সংস্থাগুলোকে আরও সক্ষম ভূমিকা রাখার দরকার ছিল। পুরো ঢাকা শহরটাই ভীষণ রকম অনিরাপদ নগরীতে পরিণত হয়েছে। গ্যাস লাইন, স্যুয়ারেজ লাইন কিংবা বিদ্যুতের মতো ইউটিলটি সার্ভিসগুলোর কারণে নানা দিক থেকে  ঢাকা একটা মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে।'

বিস্ফোরণের ঘটনায় সরকার দলীয় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে জোনায়েদ সাকি বলেন, 'এই বিস্ফোরণে নাকি রাজনৈতিক অভিসন্ধি আছে এবং কোনো কোনো রাজনৈতিক বিরোধী মহল নাকি রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থ হয়ে সহিংসতা বা এ ধরণের ঘটনা ঘটাচ্ছে। কোনো ধরণের তদন্ত ছাড়া যে তিনি এ ধরণের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে পৌঁছে গেলেন, এর চেয়ে দায়িত্বহীন বক্তব্য আর কি হতে পারে?

এ সময় ঢাকায় মগবাজার এলাকায় এমন আরেক বিস্ফোরণের ঘটনা তুলে ধরে সাকি বলেন, 'তখন মগবাজারের বিস্ফোরণের ওই ঘটনা যদি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত হতো, সুষ্ঠু উদ্যোগ নেয়া হতো তাহলে ধরনের ঘটনা অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব হতো। ঢাকা শহরকে মৃত্যুপুরী হওয়া থেকে রোধ করা যেতো। সেসব ঘটনার তদন্ত হয়, কিন্তু রিপোর্ট আর প্রকাশ পায় না।'

গুলিস্তানের বিস্ফোরণের বিষয়ে হাসনাত কাইয়ুমের বক্তব্য, 'সারা দেশে একটা কাঠামোগত হত্যাকান্ড চলছে। ঢাকাসহ প্রায় সকল শহরে মানুষের নিরাপদ বসবাসের পরিবেশ নাই। মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকল বাহিনী ও সংস্থা কাজ করার কথা। সরকার তাদের নিয়মতান্ত্রিকভাবে ও প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়েছে।'

এর আগে নেতারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

8h ago