আয়ারল্যান্ডকে চেপে ধরেছে বাংলাদেশ
দ্রুত এগোল আয়ারল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি। বড় লক্ষ্য তাড়ায় দলকে প্রত্যাশিত শুরু উপহার দিলেন দুই ওপেনার। তাদেরকে সাকিব আল হাসান বিচ্ছিন্ন করার পর উইকেট উৎসবে নাম লেখালেন ইবাদত হোসেন ও তাসকিন আহমেদ। এতে প্রতিপক্ষের হাসি মুছে দেওয়ার পাশাপাশি তাদেরকে চেপে ধরল বাংলাদেশ।
শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড। টস হেরে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ৩৩৮ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে স্বাগতিকরা। এই প্রতিবেদন লেখার সময়, ১৮ ওভার শেষে সফরকারীদের স্কোর ৫ উইকেটে ৭৩ রান। তাদের ব্যাটিং লাইনআপের প্রথম সারির পাঁচজনই ফিরে গেছেন সাজঘরে।
প্রথম পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট হারায়নি আইরিশরা। ১০ ওভারে স্টিফেন ডোহেনি ও পল স্টার্লিং আনেন ৫১ রানে। অর্থাৎ জবাব দিতে নেমে জুতসই সূচনা মেলে তাদের। দশম ওভারে সাকিবের ওপর চড়াও হন ডোহেনি। ওই ওভারে ১ ছক্কা ও ২ চারসহ ওঠে মোট ১৫ রান।
সফরকারীদের উজ্জ্বলতা থেকে বিবর্ণতার দিকে হাঁটা শুরু সাকিবের পরের ওভার থেকেই। ৬৮ বলে ৬০ রানের উদ্বোধনী জুটির পতনের পর এলোমেলো হয়ে পড়েছে তারা। এরপর ১৬ রান যোগ করতেই হারিয়ে ফেলেছে ৫ উইকেট। ক্রিজে আছেন কার্টিস ক্যাম্ফার ১ ও জর্জ ডকরেল শূন্য রানে।
দ্বাদশ ওভারে আক্রমণে ফিরে বাঁহাতি স্পিনে সাকিব ঘায়েল করেন ডোহেনিকে। ৩৮ বলে ৩৪ রানে মুশফিকুর রহিমের তালুবন্দি হন তিনি। পরের ওভারে হাওয়ায় ভেসে অসাধারণ ক্যাচ লুফে বাংলাদেশের এই উইকেটরক্ষক বিদায় করেন স্টার্লিংকে। ৩১ বলে ২২ আসে তার ব্যাট থেকে। তিনি আউট হন ইবাদতের বলে। নিজের পরের ওভারে এই পেসার টিকতে দেননি হ্যারি টেক্টরকে।
১৬তম ওভারে আরেক পেসার তাসকিন আবির্ভূত হন উইকেট শিকারের মঞ্চে। প্রতিপক্ষ অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবার্নিকে বোল্ড করে দেন তিনি। ওই ওভারে কোনো রানও দেননি তাসকিন। তার পরের ওভারের প্রথম বলে বিদায় নেন লরকান টাকার। তিনি স্লিপে ক্যাচ দেন ইয়াসির আলির হাতে।
এর আগে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় রানের স্বাদ নেয় তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন দল। তাদের আগের রেকর্ড ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০১৯ বিশ্বকাপে। ইংল্যান্ডের নটিংহ্যামে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে ৮ উইকেটে ৩৩৩ রান তুলেছিল টাইগাররা।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯৩ রান আসে শীর্ষ তারকা সাকিবের ব্যাট থেকে। ৮৯ বল মোকাবিলায় তিনি মারেন ৯ চার। তার মতোই সেঞ্চুরিবঞ্চিত হন অভিষিক্ত তৌহিদ হৃদয়। তিনি ৮৫ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৯২ রান। শেষদিকে ঝড় তোলেন অভিজ্ঞ মুশফিক। ছয়ে নেমে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ২৬ বল মোকাবিলায় সমান ৩টি করে চার ও ছয় হাঁকান তিনি।
Comments