আমি অন্যায় করিনি, আমার সঙ্গে অন্যায় হয়েছে: শাকিব খান

সংবাদ সম্মেলনে শাকিব খান। ছবি: স্টার

আমি অন্যায় করিনি, আমার সঙ্গে অন্যায় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গুলশানের নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে  তিনি এ মন্তব্য করেন। সেখানে প্রযোজক রহমত উল্লার বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে করা ২টি মামলার বিষয়সহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন তিনি।

শাকিব খান বলেন, 'আমি শিল্পী মানুষ হয়ে সাতসকালে কোর্টে এসেছি। এখানে আসতে গিয়ে অনেক হ্যাসেল সহ্য করতে হয়েছে। এত ভিড়, এত মানুষের মধ্যে দিয়ে প্রথমবার কোর্টে আসলাম। তার কারণ এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করার প্রয়োজন অনুভব করেছি। তাই কোর্টে এসেছি।'

'শুধু সিনেমা নয়, সব অঙ্গনের প্রতিষ্ঠিত মানুষদের নিয়ে ইদানীং প্রায়শই একটি শ্রেণি নানা অভিযোগ নিয়ে উপস্থিত হচ্ছে। অনেক সংবাদ মাধ্যম সেই অভিযোগগুলো সত্য কি না, তা যাচাই না করেই প্রকাশ করে দিচ্ছে। এটা ঠিক নয়। কেউ একজন এসে প্রযোজক পরিচয় দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলল, অথচ সেটা খতিয়ে না দেখে সংবাদে প্রকাশ করে দেওয়াটা কতটুকু যৌক্তিক?', বলেন তিনি।

এই চিত্রনায়ক আরও বলেন, 'অভিনেতার বাইরে আমিও একজন মানুষ, আমারও পরিবার আছে। সন্তান আছে। আত্মীয়-স্বজন আছে। তাদের কাছে মাথা উঁচু করে এখন বলতে পারছি। কিন্তু শুরুতে যখন অভিযোগগুলো আনা হয়, আমি বারবার বলছিলাম, এটা একটা ট্র‌্যাপ ছিল। যা অস্ট্রেলিয়াতেই শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু নানারকম বিভ্রান্তিমূলক সংবাদের কারণে আমার পরিবারও দুশ্চিন্তায় ছিল। তাদের মুখ দেখাতে কষ্ট হয়েছে। অন্যায়টা আমি করিনি, অন্যায়টা আমার সঙ্গে হয়েছে।'

শাকিব বলেন, 'এই হ্যাসেল, এটা সহ্য করার ক্ষমতা কারও থাকে না। কিন্তু আমার মনে হয়েছে, রিল লাইফে আমি যেমন প্রতিবাদী, অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করি, রিয়েল লাইফেও আর মুখ বুজে সহ্য করব না। এজন্যই সেদিন বলেছি, বোবা সেজে থাকার আর সময় নেই। মন সায় দেয় না, ৩-৪ দিন ধরে কারও ঘুম নাই; তবুও ভিড় ঠেলে আজ আদালতে হাজির হয়েছি।'

দেশের শিল্পী কলাকুশলীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'শিল্পীদের বিরুদ্ধে প্রায় সময় দেখি এসব অন্যায় অভিযোগ। আমি তাদের একটা বার্তা দিতে চাই, এসব আর সহ্য করো না। একটু হ্যাসেল হলেও তা সহ্য করে প্রতিবাদ করো। দেশে আইন আছে, প্রশাসন আছে, বিচারটা পাবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

9h ago